• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ১২:১৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ১২:১৪ এএম

আসছে অফশোর ব্যাংকিং আইন

আসছে অফশোর ব্যাংকিং আইন

অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় ব্যাংকের মুনাফা ও আমানতকারীর আয় করমুক্ত রেখে ‘অফশোর ব্যাংকিং আইন’ করতে যাচ্ছে সরকার। আইনটি চূড়ান্ত হলে বিদেশিদের পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশিরাও (এনআরবি) আমানত রাখতে পারবেন।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ জোরদারে এমন নীতিকে ইতিবাচক বলছেন ব্যাংকাররা। তবে বাড়তি সুদ ও সুযোগ-সুবিধার প্রচারের ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।

ব্যাংকের ভেতরে আলাদা এক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হলো অফশোর ব্যাংকিং। এখানে বিদেশি উৎস থেকে বিদেশি মুদ্রায় তহবিল গঠিত হয়।

২০১৯ সালে অফশোর ব্যাংকিং এর বিস্তারিত নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ অফশোর ব্যাংকিং আইন, ২০২৪ -এর খসড়া পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে । 

আইনটি পাস হলে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শতভাগ বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত সংগ্রহ সহজ হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন আবার বাংলাদেশিরাও খুলতে পারবে নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিদের পক্ষে।

নন রেসিডেন্ট কোম্পানিগুলোও কিনতে পারবে, ফরেইন কোম্পানিগুলোও তাদের ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।

এই পুরো জিনিসটার উপরেই একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালাটাই আইন আকারে আমরা করছি। এগুলো স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে অপারেট করবে।’

ব্যাংকাররা বলছেন, বর্তমানে আমানতে ৭ শতাংশের বেশি সুদ পাওয়ার সুযোগ আছে। অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালায় টিআইএন না থাকা আমানতকারীর আয়ে ১৫ শতাংশ, টিআইএনধারীর ১০ শতাংশ কর দিতে হয়। নতুন আইনে, আমানতকারী ও ব্যাংকের আয় করমুক্ত। 

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলো যারা টাকা রাখতে পারে, সেখানে একটা মনে হয় যে চাপ থাকবে। সেখানে আমাদের একটু কাজ করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে এটা খুব ভালো ইনভেস্টমেন্ট। ইউ উইল গেট ইউর মানি ব্যাক।

এই জিনিসগুলো আমার কাছে মনে হয় অনেক বেশি ইমপরট্যান্ট যদি আমরা খুব বড় রকমের ডিপোজিট মোবিলাইজেশন চাই আমাদের এখানে, অফশোর ব্যাংকিংয়ে।’ 

অফশোর ইউনিটের কেউ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দাখিল করলে জরিমানা হবে পাঁচ হাজার ডলার।

ব্যাংকাররা বলছেন, আইনে কিছু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রেখে অনশোর থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত তহবিল স্থানান্তরের সুযোগ রাখা উচিত।

জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে