• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২১, ০৩:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৯, ২০২১, ০৩:৩৩ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে ৪৪ শিক্ষক

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে ৪৪ শিক্ষক

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ শিক্ষক।

শনিবার (২৯ মে) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, “গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্নভাবে কোভিড-১৯ দ্বারা আমরা প্রভাবিত। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দুই বছরও লেগে যেতে পারে। আমাদের স্বনির্বাচিত সরকার দেশে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্যাপক সফলতার দাবি করলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন, তার কোনো সদুত্তর নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইন কার্যক্রমের দৈন্য দশা আমাদের। যা গত ২৭ মে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পর্ষদের অনলাইন সভার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলেই অনুমান করা যায়। আমরা আশা করেছিলাম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুসরণে শিক্ষা পর্ষদ ও সিন্ডিকেটে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম সচল করা হবে। আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ করলাম যে রেকর্ড সময় ব্যয় করে গত মে ২৭, ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পর্ষদের সভায় খণ্ডিতভাবে কেবল অনলাইন পরীক্ষা অধ্যাদেশ সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।”

বিবৃতিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, “নতুন এই অধ্যাদেশের বিরোধী আমরা নই বরং আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্যই মনে করি। এটি প্রয়োজনে আরও সংশোধন-পরিবর্ধনেরও পক্ষপাত। আমরা মনে করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর আর্থিক সক্ষমতা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট প্রাপ্যতা, ইত্যাদি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কারণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল ও পাঠাগার শিক্ষার্থীদের জন্য অতিসত্তর উন্মুক্ত করে দেয়া প্রয়োজন।”

বিবৃতিদাতা শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মজিবুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক মাহবুব কবির,  অধ্যাপক সালেহ আহমেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক সোহেল রানা,  অধ্যাপক মঞ্জুর এলাহী, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটোয়ারী, অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক জাকির হোসেন, মো. রেজাউর রাকিব প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটি। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১২জুন পর্যন্ত আবারো ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে সরকার ঘোষিত এ ছুটিতে চালু ছিল অনলাইন ক্লাস তবে বন্ধ ছিল সব ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এবং সরকার ও ইউজিসির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে সশরীরে ক্লাশ ও পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ শিক্ষক।