নন-এমপিও এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ শিক্ষক আর্থিক ও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। তারা একদিকে যেমন পরিবার-পরিজন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন, অন্যদিকে নিজেদের প্রিয় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে ফেরার ব্যাকুলতা—দুইয়ে মিলে রীতিমতো ট্রমার মধ্যে সময় পার করছেন মানুষ গড়ার কারিগররা। এ পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আকুঁতি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
দেশে এ মুহূর্তে এক লাখের বেশি শিক্ষক আছেন, যারা এমপিওভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু করোনাকালে তারা দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। এর বাইরে ব্যক্তিমালিকানায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সংসারের চাকা সচল রাখতে অনেকে দিনমজুর, রংমিস্ত্রি, মুদি দোকান, হকারি, রাইড শেয়ারিংয়ের মতো পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
সমাজে শিক্ষকদের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদফতর যদি মনে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে খুলে দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, করোনা প রোধে লকডাউন শুরু হলে বিপদে পড়ে যান এসব শিক্ষক। টানা ১৫ মাস রোজগারের পথ বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা যে কতটা দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন, সেটি বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু জানান, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ কমিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা খাতে পুনর্জাগরণ জরুরি’
জাগরণ/এসএসকে/এমএ