• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০১৯, ১১:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০১৯, ১১:২৫ এএম

এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা

এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা


চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের ৯ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০৪ জন। অথচ ২০১৮ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা দৈনিক জাগরণকে জানান, গত মার্চে একটি জরিপে তারা দেখেছেন ঢাকার বাসাবাড়িতে এডিস মশা জন্মের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাবে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ পূর্বের চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমর্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য বলছে- চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে চারজন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের ৯ তারিখ পর্যন্ত যে ৩০৪জন আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে ৪জনের মৃত্যুর বাইরেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৭৯জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বলছে, প্রতি বছর তারা একটি জরিপ করে। এর মাধ্যমে দেখা হয়, ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার প্রজননের হার। জরিপের একটি অংশ বর্ষা শুরুর আগে, একটি অংশ ভরা বর্ষায় এবং শেষ অংশ বর্ষার পরে করা হয়। বর্ষা শুরুর আগে মার্চ মাসে সম্পন্ন করা জরিপের প্রথম অংশেই ধরা পড়েছে, বর্তমানে ঢাকায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের সূচক ২২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা দৈনিক জাগরণকে বলেন, এই ২২ শতাংশ বিপজ্জনক সীমারও বেশি। তাই বর্ষা শুরু হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির জোরালো আশঙ্কা আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরিপটি চালিয়েছে ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনের ৯৭টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে। প্রায় এক হাজার বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে নির্মানাধীন বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এবং পুরনো ভবন ছিল।

আরএম/আরআই