• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২০, ০২:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৯, ২০২০, ০৩:১৫ পিএম

কোভিড-১৯

আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল, মৃত্যু ২১

আক্রান্তের  সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল, মৃত্যু ২১

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১ জন। তার বয়স ৬০ এর অধিক। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো ২১ জনে। 

এই সময়ের মধ্যে নতুন করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে আরও ১১২ জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৩৩০ জন।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। নিজের বাসা থেকে এই অনলাইন বুলেটিন উপস্থাপনে যোগ হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

 ১ হাজার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১২ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭০ জন, নারী ৪২। নমুনা পরীক্ষার দিক দিয়েও সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬১৮টি এবং ঢাকার বাইরে ৪৭৯টি। গত কয়েক দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা বেড়েছে ১১ শতাংশ।

রাজধানীর ৪৮টি এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে মিরপুর অঞ্চল, পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর ও বাসাবো এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিতে।

আইইডিসিআর এর সর্বশেষ তথ্য মতে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত‌ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এলাকাগুলো হলো- আদাবর, মোহাম্মদপুর, বসিলা, ধানমন্ডি, জিগাতলা, সেন্ট্রাল রোড, গ্রিন রোড, শাহবাগ, বুয়েট এলাকা, হাজারীবাগ, উর্দু রোড, চকবাজার, লালবাগ, বাবুবাজার, ইসলামপুর, লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা, সোয়ারীঘাট, ওয়ারী, কোতোয়ালি, বংশাল, যাত্রাবাড়ী, পুরানা পল্টন, ইস্কাটন, বেইলি রোড, মগবাজার, বাসাবো, রামপুরা, শাজাহানপুর, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, আশকোনা, উত্তরা, গুলশান, মহাখালী, তেজগাঁও, কাজীপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর, মিরপুর ১১ নম্বর, মিরপুর ১৩ নম্বর, মিরপুর ১ নম্বর, শাহ আলীবাগ, পীরেরবাগ, টোলারবাগ এবং উত্তর টোলারবাগ।

আইইডিসিআর থেকে জানান হয়, যেসব এলাকায় পাঁচের অধিক রোগী সেসব এলাকায় ক্লাস্টারভুক্ত কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। ঢাকার ১০ এর অধিক এলাকায় পাঁচের অধিক রোগী রয়েছে। এসব এলাকায় ক্লাস্টার আকারে রোগী ছড়াচ্ছে।

আইইডিসিআর এর তথ্য অনুসারে, রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে আদাবরে একজন, মোহাম্মদপুরে ছয়জন, বসিলায় একজন, ধানমন্ডিতে নয়জন, জিগাতলায় তিনজন, সেন্ট্রাল রোডে একজন, গ্রিন রোডে দুইজন, শাহবাগে একজন, বুয়েট এলাকায় একজন, হাজারীবাগে একজন, উর্দু রোডে একজন, চকবাজারে দুইজন, লালবাগে পাঁচজন, বাবুবাজারে দুইজন, ইসলামপুরে দুইজন, লক্ষ্মীবাজারে একজন, নারিন্দায় একজন, সোয়ারীঘাটে তিনজন, ওয়ারীতে নয়জন, কোতোয়ালিতে একজন, বংশালে একজন, যাত্রাবাড়ীতে পাঁচজন, পুরানা পল্টনে দুইজন, ইস্কাটনে একজন, বেইলি রোডে একজন, মগবাজারে একজন, বাসাবোতে নয়জন, রামপুরায় একজন, শাজাহানপুরে একজন, বাড্ডায় একজন, নিকুঞ্জে একজন, আশকোনায় একজন, উত্তরায় পাঁচজন, গুলশানে ছয়জন, মহাখালীতে একজন, তেজগাঁওয়ে দুইজন, কাজীপাড়ায় একজন, মিরপুর ১০ নম্বরে দুইজন, মিরপুর ১১ নম্বরে দুইজন, মিরপুর ১৩ নম্বরে একজন, মিরপুর ১ নম্বরে আটজন, শাহ আলীবাগে দুইজন, পীরেরবাগে দুইজন, টোলারবাগে চারজন ও উত্তর টোলারবাগে ছয়জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি লেখা অবদি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ১৭ হাজার ৭৩১ জন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৩ জন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ২৬৬ জন।

ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। দেশটিতে এখন অবদি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯২৭ জন এবং মারা গেছেন ১৪ হাজার ৭৮৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ২২০ জন। সেখানে মারা গেছে ১৪ হাজার ৭৯২ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪২২ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ হাজার ৬৬৯ জন।

এসএমএম