• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২০, ০২:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২০, ০৩:১৩ পিএম

কোভিড-১৯

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে মৃত্যু

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে মৃত্যু
অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডা. নাসিমা সুলতানা ● আইইডিসিআর

আক্রান্তের ৫২তম দিন

........

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এ মারা যাওয়ার সংখ্যা কমলেও, বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও। গতকালের তুলনায়  মারা সংখ্যা কমে যাওয়ায় কিছুটা আশা জাগালেও শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ঝুঁকির। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধিসহ সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলার আবারও আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৪৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যা সোমবারের (২৭ এপ্রিল) তুলনায় ৫২ জন বেশি। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৪৬২ জনে।

একই সময়ে মারা গেছে আরও ৩ জন। সোমবার মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৭ জন। সব মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্য ১৫৫ জন। যে ৩ জন মারা গেছে তারা সবাই ঢাকার বাসিন্দা ও তাদের সবারই বয়স ষাটোর্ধ্ব।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন সুস্থ হয় বাড়ি ফিরে গেছেন। এ পর্যন্ত ১৩৯ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩টি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ৪ হাজার ৩৩২ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪৯ জনের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা গতকালের তুলনায় ১৩.৬৪ শতাংশ বেশি।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) দেশে ৪৯৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয় ও ৭ জনের মৃত্যু হয়।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে বাড়ানো হয় সতর্কতা। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৬ হাজার। আর মারা গেছে ৪ হাজার ৪০০ এর বেশি মানুষ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ লাখ ১১ হাজার ৭৬৬।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৩৪৭ জন, ফ্রান্সে ৪৩৭ জন, ইতালিতে ৩৩৩ জন, স্পেনে ৩৩১ জন ও যুক্তরাজ্যে ৩৬০ জন মারা গেছেন।

চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ৪ মাসের মাথায় এ প্রাণঘাতি ভাইরাসে আক্রান্ত হলো ২১০টি দেশ ও অঞ্চলের মোট ৩০ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ।

তবে এই ৩০ লাখই আক্রান্ত এমনটা ভাবতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মৃদু সংক্রমণে লক্ষণ প্রকাশিত হয়নি এমন অনেকেই রয়ে গেছে পরীক্ষার আড়ালে। ফলে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখের অনেক বেশিই হবে।

পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এমন ধারণায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেসেন্টিটিভে কাজ শুরু হবে ৪ মে থেকে।অবশ্য নিউ ইয়র্কে ১৫ মে পর্যন্ত সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।

সংক্রমণ বাড়ায় আবুজা, ওগুন ও লাগোস ৩ রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৪ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে নাইজেরিয়া।

প্যারাগুয়েতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট। আর্জেন্টিনায় ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস থেকে নিস্তার পাওয়ার আশায় বিষাক্ত মদ পান করে ৭০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইরানে।

অর্থনীতি বাঁচাতে গাজার রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।

রাশিয়া, নেদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে বাড়ছে আক্রান্ত।

মহামারি করোনার কারণে সারা বিশ্বেই চরম মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘ। আর করোনার ব্যাপক সংক্রমণের কারণে অন্য রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এসএমএম

আরও পড়ুন