• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২১, ০৩:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৭, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম

শিশুর সুরক্ষায় যা এড়ানো যাবে না

শিশুর সুরক্ষায় যা এড়ানো যাবে না

সারা বছরই শিশুর প্রতি আলাদা যত্ন নিতে হয়। শীতের সময় এ যত্ন যেন আরো খানিকটা বেড়ে যায়। কারণ, একটু অবহেলাই শিশুকে গ্রাস করতে পারে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে। এ সময় আবহাওয়ার সঙ্গে শিশুদের মানিয়ে নেওয়াও কঠিন হয়ে ওঠে। অনেক শিশুর ত্বকেও ব়্যাশ দেখা যায়।

করোনার সময়ে ঠান্ডাজনিত সমস্যা এড়াতে শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। শিশুদের যত্নে কোন বিষয়গুলো এড়ানো যাবে না, তা নিয়েই আজকের এই আয়োজনে।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

শিশুর ত্বক অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়। শিশুদের নরম ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ভুলে গেলে চলবে না। ত্বক কোমল রাখতে ভালো ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। চাইলে দুধ বা মাখনসমৃদ্ধ ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার শিশুর ত্বক মোলায়েম রাখতে সাহায্য করবে।

নির্দিষ্ট সময়ে টিকা দেওয়া

শীতের নানা রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা করতে সঠিক সময়ে টিকা দিতে হবে। শিশুকে নির্দিষ্ট সময়ে টিকা না দিলে অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

স্তন্যপান করানো

শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে স্তন্যপান করানো উচিত। এতে অ্যান্টিবডি এবং পুষ্টি থাকে। শিশুকে বুকের দুধ পান করালে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মেলে। তাই এই বিষয়ে অবহেলা করা মোটেও উচিত নয়।

তেল মাখানো

ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া শিশুর ত্বকের সব আর্দ্রতা শুষে নেয়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শীতের দিনে কমপক্ষে দুইবার শিশুর গায়ে তেল মাখিয়ে নিন। তেল শিশুর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে।

ম্যাসাজ করা

শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য নিয়মিত শরীর ম্যাসাজ করা খুবই জরুরি। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে।

গোসল করানো

হাইজিন মেইনটেন করার জন্য শিশুকে পরিষ্কার রাখা এবং গোসল করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শীতকালে শিশুকে হালকা গরম পানিতে গোসল করান। এটি অসুস্থতার ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে।

রোদ পোহানো

সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি রয়েছে। দিনের যেকোনো সময় বা গোসলের পর শিশুকে কিছুটা সময় রোদে রাখুন। এতে হাড় শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

ভারী কম্বল ব্যবহার না করা

বেশি ঠান্ডা পড়লেও বাচ্চাদের ভারী কম্বলে না শোওয়ানো ভালো। এতে শিশুর হাত-পা নাড়তে অসুবিধা হতে পারে। শিশুর ঘুমে আরামদায়ক হয় এমন কিছু ব্যবহার করুন।