• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২১, ০৫:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১২, ২০২১, ০৫:০০ পিএম

শীতে চর্মরোগ, চিকিৎসকের পরামর্শ

শীতে চর্মরোগ, চিকিৎসকের পরামর্শ

শীতে নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকে ত্বক। এর মধ্যেই অন্যতম হচ্ছে চর্মরোগ বা চুলকানি। শীতের সময়টায় এই সমস্যা যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ত্বকের এ সমস্যা নিয়ে কথা বললেন বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও রেসপেরেটরি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন।

ত্বকের চর্মরোগ নিয়ে ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “শীতের সময়টা ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। কারণ, চামড়ার আর্দ্রতা কমে যাওয়া। তখন চামড়ায় চুলকানি ভাব হয়। চামড়া থেকে পানি চলে যাওয়ায় এই প্রবণতা হয়। ত্বকে এই পানির ভাব যেন না কমে যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। খুব সহজেই এটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল কিংবা বাজারে পাওয়া ভ্যাসলিনও লাগিয়ে রাখতে পারেন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার এগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের এই আর্দ্রতা কম হবে। সে ক্ষেত্রে চুলকানিও কমে যাবে।

“এছাড়া শীতের সময় আমরা উষ্ণ কাপড় পড়ে থাকি কিংবা একই কম্বল অনেকে ব্যবহার করে থাকি। সে থেকেও চুলকানি হতে পারে। একই কাপড় বা কম্বল ব্যবহার করা যাবে না।”

“শীতের সময়টাতে কারো কারো স্ক্যাবিস সমস্যাও হয়। একজনের হলে তা পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সবাইকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।”

“শীতে চুলে খুশকি হয়। সে থেকেও চর্মরোগ হয়। নিয়মিত শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। চুলকে শুষ্ক হতে দেওয়া যাবে না। ধুলাবালি জমতেও দেওয়া যাবে না। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন শ্যাম্পু করতে হবে।”

“নিয়মিত কাপড়গুলো পরিষ্কার করতে হবে। ওপরের ভারী কাপড়গুলো যেমন কোট, সোয়েটারসহ শীতের কাপড়গুলে প্রতিদিন পরিষ্কার সম্ভব নয়। অন্তত শরীরে লেগে থাকা কাপড়গুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।”

“এ ছাড়া শীতের সময় ঘরের বাতাসের কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যায়। এ বিষয়েও খেয়াল রাখা দরকার। বাইরে আবহাওয়া তো খারাপ থাকেই। ঘরেরটাও খারাপ হয়ে যায়। কারণ আমরা সারাক্ষণ ঘর বন্ধ করে রাখি বা জানালা-দরজাও খুলি না। এতে রান্নার পর ধোঁয়াও ঘরে ঢুকে থাকছে। পরিমিত ভ্যান্টিলেশন হচ্ছে না। তাই বাতাসের কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এটা থেকেও চুলকানি, এজমার মতো রোগগুলো হচ্ছে।”