সন্তানকে কীভাবে বড় করছেন। শারীরিক যত্ন তো নিচ্ছেন, কিন্তু সন্তানের মানসিক যত্ন কি ঠিকভাবে নজর দিতে পারছেন? হঠাৎ ছোট কোনো ঘটনাও সন্তানের মনকে আঘাত করতে পারে। এর মধ্যে বেশি আঘাত পায় অন্যের সঙ্গে তুলনা করলে।
আপনার সন্তানকে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করলে তার মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে পরিবারের মা-বাবাকে সতর্ক হওয়ার জন্য কড়া নির্দেশনাও দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সন্তানকে নিয়ে সব সময় ইতিবাচক কথা বলুন।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে কখনো সন্তানকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করছেন, আবার সন্তান কত টাকা রোজগার করছে, তা নিয়েও অন্যরা বেশি করছে বলে তুলনা করছেন, এ ধরনের ঘটনা সন্তানের মনে অনিশ্চয়তা বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি নতুন এক সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “যদি এমনটাই করে থাকেন আপনি, তাহলে আপনার সন্তান খুব শিগগিরই দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হতে চলেছে।”
ন্যাশানাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। ১৫০০ জনের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়। যাদের বয়স ২৫ থেকে ২৭ বছর। যার মধ্যে ৪৯ শতাংশ ছিল নারী।
সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়, যে সন্তানরা ‘তুলোনামূলক সমালোচনা’র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা এবং স্নায়ুর সমস্যা দেখা যাচ্ছে। পরিবারই দিন-রাত সেই তুলনা করছে। এই সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের হালও ঝুঁকিপূর্ণ।
ফলাফল শেষে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নেতিবাচক কথা বলে সন্তানকে জাগিয়ে তোলা যাবে না। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো থাকুন। খারাপ-ভালো বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলুন। ছোট থেকেই শিশুদের সঙ্গে এই আচরণ করুন। মনে রাখবেন, অন্য ছেলেমেয়ের সঙ্গে তুলনা করলে আপনার সন্তান নিজেকে আরো গুটিয়ে নিতে পারে। সন্তানকে নিজের লক্ষ্য স্থির করতে দিন।