• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২১, ০৪:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৪, ২০২১, ০৮:৩৯ পিএম

যক্ষ্মা রোগের ঘরোয়া ৭ সমাধান

যক্ষ্মা রোগের ঘরোয়া ৭ সমাধান

দীর্ঘমেয়াদী কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত, বুকে ব্যথা, জ্বরসহ বেশকিছু উপসর্গে বোঝা যায় আপনার মরণব্যাধি যক্ষ্মা রোগ হয়েছে।  তবে যক্ষ্মাকে এখন মরণব্যাধি রোগ বলা বাহুল্য হবে না। কারণ যথাযথ চিকিৎসায় এই রোগ নিরাময় সম্ভব। তবে রোগ নির্ণয়ও প্রয়োজন। এরপর নিয়ম মেনে ওষুধ খেলেই ভালো হয়ে যাবে এই রোগটি।

যক্ষ্মা, ভাইরাসজনিত একটি রোগ। এছাড়াও এই রোগের পেছনে বেশকিছু কারণও রয়েছে। যেমন যাদের ডায়াবেটিসের রয়েছে, যারা ক্যানসার রোগে ভুগছেন, শরীরের কোনও অংশ ট্রান্সপ্লান্টের পর ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এই রোগ হতে পারে। আবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে এবং অধিক ধূমপান ও মাদকাসক্তিও যক্ষ্মা রোগের অন্যতম কারণ।

যক্ষ্মার রোগে চিকিৎসকরা ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। ৪ থেকে ৬ মাস ওষুধ খেতে হয়। নিয়মিত ওষুধ খেলে রোগটি ভালো হয়ে যায়। তবে এই রোগ নিরাময়ে ঘরোয়া কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। আবার এই পরামর্শগুলো আগেই মেনে চললে যক্ষ্মা হওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে।

  • প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে যক্ষ্মার লক্ষণ কমে যাবে।
  • মধু ও মাখন খেতে পারেন। এটি শরীরের ক্ষয় রোধ করবে। সেই সঙ্গে যক্ষ্মা থেকে রেহাই দেবে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম মাখনে ২৫ গ্রাম মধু মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।
  • খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গের গুড়ায় মধু মিশিয়ে খাবেন। এতে সুফল পাবেন।
  • ২৫০ গ্রাম দুধে অশ্বত্থ পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। সকাল-সন্ধ্যা সেই দুধ পান করুন। যক্ষ্মা ভালো হয়ে যাবে।
  • রসুনের রসের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে খান। রসুনের রস ফুসফুসকে মজবুত করে। যা যক্ষ্মার জন্য উপকারি।
  • যক্ষ্মা রোগীরা প্রতিদিন ১০০ বা ২০০ গ্রাম আঙুর খাবেন।
  • কলা হতে পারে যক্ষ্মা রোগীর মহাঔষধ। এটি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যা যক্ষ্মা রোগ নিরাপয়ে সহায়ক।