• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২১, ০৫:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০২১, ০৫:২২ পিএম

টিকা নেওয়া মায়ের দুধে নবজাতকের সুরক্ষা

টিকা নেওয়া মায়ের দুধে নবজাতকের সুরক্ষা

করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া মায়ের বুকের দুধে নবজাতকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, এমনই প্রমাণ মিলেছে নতুন গবেষণায়। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা নেই গর্ভবতী নারীদের বা সদ্য মা হওয়া নারীদের। বরং এতে নিজের সঙ্গে নবজাতকেরও সুরক্ষা মিলবে।

সম্প্রতি জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (JAMA)-এ একটি নতুন সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ইসরায়েলে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বুকের দুধে অ্যান্টিবডির নিঃসরণকে ত্বরান্বিত করে। টিকা নেওয়ার পর থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত বুকের দুধে এই অ্যান্টিবডি থাকে।

গবেষণার মূল বিষয় ছিল, মায়ের বুকের দুধের মধ্যে ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির নিঃসরণ হয় কী না, তা-ই যাচাই করে দেখা। ৮৪ জন নারীর ওপর চালানো হয় এই সমীক্ষা। তাদের করোনা ভ্যাকসিনের দুই ডোজ দেওয়া হয়। ২১ দিনের ব্যবধানে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তাদের।

প্রথম টিকা দেওয়ার ২ সপ্তাহ পর বুকের দুধের নমুনা সংগ্রহ করেন গবেষকরা। প্রতি সপ্তাহে একবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এভাবে টানা ৬ সপ্তাহ ধরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

প্রথম টিকা নেওয়ার ২ সপ্তাহ পর অ্যান্টিবডির স্তরের উল্লেখযোগ্য পরিপূর্ণতা দেখা যায়। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পর অ্যান্টিবডির স্তরের তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, নবজাতক শিশুকে দুধ পানের মাধ্যমে তাদের শরীরের কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারেন টিকা দেওয়া মায়েরা।

এই গবেষণায় মা ও সন্তানের মধ্যে টিকার প্রয়োগের পর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় কি না, তা-ও পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিছু নারীর মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এছাড়াও ৪টি শিশুর জ্বর, সর্দি ও কনজেশান ধরা পড়ে। তবে ৩টি শিশু চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়। একটি শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সারিয়ে তোলা হয়।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ড্যানেল ফিশার এবং ক্যালিফর্নিয়ার স্যান্টা মনিকার, প্রভিডেন্স সেন্ট জোনস হেল্থ সেন্টারের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণা পরিচালনা করেন। 

গবেষণা শেষে ড. ড্যানেল ফিশার বলেন, “সমীক্ষার সমাধান অত্যন্ত উৎসাহজনক।আমরা মায়েদের করোনা থেকে সুরক্ষা করি, যা পরে তারা শিশুর শরীরেরও বহন করতে পারেন।”

তবে আরও একদল গবেষক বলছেন, এই বিষয়ে এখনো আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।