• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২১, ০৪:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১২, ২০২১, ০৪:৫৭ পিএম

হোম আইসোলেশনে থাকলে জটিলতা কমবে

হোম আইসোলেশনে থাকলে জটিলতা কমবে

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সংক্রমণও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সুস্থ হচ্ছেন অনেকে। সুস্থ হওয়ার পরবর্তী কিছু জটিলতাও দেখা যাচ্ছে শরীরে। এই জটিলতা কারও ক্ষেত্রে বেশি হচ্ছে কারো কম। এরইমধ্যে একদল গবেষক জানিয়েছেন, বাড়িতে বসে করোনা চিকিতসায় সুস্থ হওয়ার পরবর্তী জটিলতাগুলো তুলনামূলক কম হয়। 

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ নিয়ে এক গবেষণার প্রতিবেদন বিখ্যাত জার্নাল “লেন্সেট”এর প্রকাশ পায়। সেখানেই এমন তথ্য উঠে আসে। গবেষণার ফলাফলে জানা যায়,  হোম আইসোলেশনে থাকা সব থেকে নিরাপদ। যারা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

গবেষকরা বলেন, যারা হাসপাতালে ভর্তি হননি, তাদের শরীরে এই ভাইরাসের ক্ষতিকারক প্রভাব তুলনামূলক কম। এই ভাইরাস ততটা গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। সুস্থ হওয়ার পর তাদের মধ্যে ভাইরাসটির দীর্ঘকালীন প্রভাবও কম দেখা যায়।

যদিও করোনামুক্ত হওয়ার পরের সময়টা গভীর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে থ্রমবোএম্বলিজম রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সুস্থ হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ষষ্ঠ মাস পর্যন্ত ব্রঙ্কোডাইলেটর থেরাপি থেকে শুরু করে ডিস্পনিয়ারের ভুগতে পারেন রোগীরা।

তবে এই পরীক্ষায় সুখবার হলো, দীর্ঘকালীন কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব না থাকলেও বারবার ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে। শরীরের অন্যান্য পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দেন গবেষকরা। মানসিক সমস্যা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং দুর্বলতার দেখা দিলে চিকিতসকের পরামর্শ নিতে হবে।