• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২১, ১২:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৭, ২০২১, ০১:৫৯ পিএম

টিকার দু’টি ভিন্ন ডোজ নেওয়া কতটা নিরাপদ?

টিকার দু’টি ভিন্ন ডোজ নেওয়া কতটা নিরাপদ?

করোনা সংক্রমণ রোধে টিকা সংকটে পড়েছে দেশবাসী। প্রথম ডোজ দিয়ে অনেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম হওয়ায় সংকট বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অন্য দেশ থেকে টিকা আনার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের অনেককেই দ্বিতীয় ডোজে অন্য ভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

করোনা সংক্রমণ রোধে দুই ধরনের ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া কতটা নিরাপদ এ নিয়েই এখন শঙ্কা তৈরি হয়েছে সাধারন মানুষের মনে। একই ব্যক্তি দু’বারে, দু’টি ভিন্ন টিকার ডোজে স্বাস্থ্যের কোনও সংকট হবে কি না তা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্টে।

ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত ওই সমীক্ষা রিপোর্টে জানায়, যাদের ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে তাদের বড় ধরনের কোনও বিপদের শঙ্কা নেই। তবে অল্প থেকে মাঝারি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। জ্বর, কাঁপুনি, ক্লান্তি, মাথাব্যথা হতে পারে। 

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের কম কভ ভ্যাকসিন ট্রায়াল গবেষণাটি পরিচালনা করে। চারটি বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকা।

সমীক্ষায় অংশ নেন ৮৩০ জন। প্রথম দফায় একটি দলকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ এবং ২৮ দিন পরে তাদের ফাইজারের টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছিল।

আবার অন্য দলকে দুই বারই হয় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ বা ফাইজারের টিকার ডোজ দেওয়া হয়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ‘মিক্সড’ ডোজ দেওয়ার কারণে বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। স্বাভাবিক ওষুধেই তারা সুস্থ হয়েছেন।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির, পেডিয়াট্রিক্স ও ভ্যাকসিনোলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ডা. ম্যাথিউ স্ন্যাপ জানান, দুই ধরনের ভ্যাকসিন ডোজ নিলেও সেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোই দেখা যাচ্ছে, যা প্রথম ডোজ গ্রহণের পর ঘটছে। তবে পার্থক্য হচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো বার বার ঘটছে।