• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২১, ০৮:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০২১, ০৮:৪১ এএম

নেগেটিভ ইমোশন হতে পারে নীরব ঘাতক

নেগেটিভ ইমোশন হতে পারে নীরব ঘাতক

মানবদেহে দুই ধরনের এনার্জি বা ইমোশন কাজ করে। একটি নেগেটিভ আর অন্যটি পজিটিভ। এই দুটো ইমোশন আমদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের  চিন্তাধারাকে পরিচালিত করে। আবার বলা যায়, চিন্তাধারার ফলে নিয়ন্ত্রিত হয় এই দুটো ইমোশন। এই দুই ইমোশন কিন্তু স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। পজিটিভ এনার্জি বা ইমোশন যেমন শরীরকে সুস্থ রাখে। অন্যদিকে নেগেটিভ এনার্জি বা ইমোশন স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকারক।

চিকিৎসকরা জানান, আপনি যদি নেগেটিভ এনার্জির প্রবাহ দীর্ঘসময় বা দীর্ঘদিন ধরে রাখেন, তবে স্বাস্থ্যের জন্য় তা খুবই ক্ষতিকর। তাই নেগেটিভ এনার্জিকে কাটিয়ে পজিটিভ থাকার পরামর্শ থাকছে।

নেগেটিভ ইমোশন কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে তা জানাব আজকের আয়োজনে। 

রাগ

কারো ওপর হঠাৎ রেগে গেলেন কিংবা কোনও বিষয়ে রেগে গেলেন এবং তা দীর্ঘদিন পুষে রাখলেন। এটি আপনার শরীরের জন্য় ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতিরিক্ত রাগ ক্ষতি করে লিভারের। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর রায়ান মার্টিন বলেন, রাগ হলে মানুষের সহানুভূতিশীল স্নায়ুবিক কার্যক্রম শুরু হয়। হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে যায়। আপনি ঘামতে শুরু করবেন এবং পরিপাক ক্রিয়া ধীরগতিতে চলতে শুরু করে।"

স্ট্রেস

অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ যে কতটা ক্ষতিকর তা আমরা আগেও জেনেছি। মানসিক চাপে শরীরের বিভিন্ন অংশে উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে। ধীরে ধীরে তা শরীরের কার্যক্ষমতাকে গ্রাস করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ মস্তিষ্ক ও হার্টের জন্য ক্ষতিকর। নানা ধরনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ এই মানসিক চাপ।

দুশ্চিন্তা

ব্যস্তজীবনে অনেককিছু নিয়েই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। ঘর বা বাইরের পরিবেশে সামঞ্জস্য করতে যেমন প্রতিযোগ চলে। তেমনি সামঞ্জস্য করতে না পারলে দুশ্চিন্তা ঘিরে বসে আমাদের। যা শরীরের জন্য় বেশ ক্ষতিকর। প্রাথমিকভাবে এর প্রভাব না বোঝা গেলেও ধীরে ধীরে বড় রোগের দিকে ধাবিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুশ্চিন্তা করার অভ্যাস আমাদের পাকস্থলির ওপর প্রভাব ফেলে।

দুঃখ 

দুঃখ-সুখের জীবন। এরমধ্যেই বসবাস। কিন্তু দুঃখের মধ্যেও আনন্দ খুজে নিতে কতই না চেষ্টা। তবু কী পিছু ছাড়ে দুঃখ! বিশেষজ্ঞরা বলেন, দীর্ঘদিন জমে থাকা দুঃখ ফুসফুস চাপ ফেলে।

ভয়

হঠাৎ ভয় পাওয়া বা সবসময় কোনোকিছুতে ভয় অনুভূতি কাজ করাও ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়ের অনুভূতি দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে তা প্রভাব পড়ে কিডনির ওপর। তাই ভয়কে কাটিয়ে নিতে হবে। সাহস ও আত্মনির্ভশীলতা বাড়াতে হবে। যা ভয়ের বিরুদ্ধে কাজ করবে।

 

সূত্র: হেলথলাইন