• ঢাকা
  • রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২১, ১০:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০২১, ১০:৩৯ এএম

দু’এক সপ্তাহের পর কমবে মৃত্যুর মিছিল

দু’এক সপ্তাহের পর কমবে মৃত্যুর মিছিল
সাম্প্রতিক ছবি

বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন সপ্তাহখানেক পর থেকে দেশে ধীরে ধীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ কমতে শুরু করবে। তবে দুশ্চিন্তা থেকেই যাবে মৃত্যু নিয়ে। অন্তত দু’এক সপ্তাহের পর মৃত্যুর মিছিল কিছুটা হলেও কমবে।

চলমান কঠোর লকডাউনের সুফল হিসেবেই এটা মনে করছেন তারা। আবার এও বলা হচ্ছে মানুষের আরও সতর্কতা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। টিকা নিলেই নিজেকে নিরাপদ ভাবা যাবে না। মাস্ক পরতে হবে।

এখন যারা মারা যাচ্ছে তারা মূলত আরো দু-এক সপ্তাহ আগে সংক্রমিত হয়েছিল। তখন শনাক্ত ছিল এখনকার তুলনায় প্রায় অর্ধেক বা তার চেয়ে কম। তখনকার সংক্রমণের আনুপাতিক হারে মৃত্যু দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এখন সংক্রমণ যে মাত্রায় আছে সেই অনুপাতে সামনে সে হারেই মৃত্যু অব্যাহত থাকতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।

কেউ কেউ এমন পূর্বাভাসের সঙ্গে একমত নন।

তারা বলছেন যে এবারও প্রত্যাশিত মাত্রায় লকডাউন কার্যকর হয়নি। তাই প্রত্যাশা অনুপাতে সুফল আশা করা যায় না। বড়জোর সংক্রমণ ও মৃত্যুর গতি কিছুটা ধীর হবে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১ জুলাই লকডাউন শুরুর দিন থেকে ৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত দেশে মোট নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ৬০০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৩৩ জন এবং মারা গেছে এক হাজার ১৪৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ফলে এখন যারা শনাক্তকৃত তাদের আইসোলেশন জরুরি। যদি আক্রান্তরা অন্যদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়াতে না পারে, তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংক্রমণ কমে আসবে বলে আশা করা যায়।

রোগতত্ত্ববিদ ড. মুশতাক হোসেন  বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে যারা শনাক্ত হচ্ছে তাদের একাংশকে হাসপাতালে রাখা এবং আরেক অংশকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন নিশ্চিত করা দরকার। নয়তো এ দফায় সংক্রমণ কিছুটা কমলেও পরবর্তী সময়ে আবার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাবে।

আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন,  মানুষের আরো সতর্কতা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। আবার টিকা নিলেই নিজেকে নিরাপদ ভাবা যাবে না। মাস্ক পরতে হবে।’

তবে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আবু জামিল ফয়সাল  বলেন,  হয়তো বড়জোর সংক্রমণ ও মৃত্যুর গতি কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু খুব স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে নেমে যাবে, সেটা দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটবে, সেটা মনে করতে পারছি না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, বিধি-নিষেধ না মানলে, মাস্ক না পরলে কিংবা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে ঘোরাফেরা করলে সংক্রমণ কমবে না।

ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, মূলত এখন দুই ধরনের রোগীর মৃত্যু বেশি হচ্ছে। একটি হচ্ছে আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, কিডনি বিকলজাতীয় রোগে আক্রান্তরা যারা দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে জটিলতা বেড়ে গিয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ও সিসিইউ-আইসিইউ সাপোর্ট পাওয়ার পরও এক পর্যায়ে মারা যাচ্ছে।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ