• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২১, ০৯:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০২১, ০৯:৩২ পিএম

৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে টিকার বুস্টার ডোজ শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে টিকার বুস্টার ডোজ শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ফটো।

ভয়াবহ মারিকালকে যেন অতিক্রমই করতে পারছে না বিশ্ব। একের পর এক নতুন নতুন ও শক্তিশালী ধরন বা রূপে আক্রমণ শানাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। আর তা থেকে রক্ষা পাওয়ার সকল প্রচেষ্টাও চলছে বিশ্বব্যাপী। দেশের মানুষকে রক্ষা করতে চলছে সকল প্রচেষ্টা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার শুরু হতে যাচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ শুরুর জন্য কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় রয়েছি। একইসঙ্গে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করার কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশেও বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। তাদের তালিকা তৈরির কার্যক্রম চলছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত ২৫ শতাংশের মতো মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয় কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৬ জন টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে চার কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৩২৩ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কভিড টিকার কার্যকারিতা কমে আসে। এ কারণে বিশ্বের কিছু দেশ বাড়তি এক ডোজ করে টিকা দিচ্ছে। এটিকে বুস্টার ডোজ বলা হয়।

বাংলাদেশে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ করে টিকা পাওয়ার আগে বুস্টার ডোজের পক্ষে ছিলেন না বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু করোনার নতুন ধরন ওমিক্রণ সংক্রমণ ছড়ানোর পর আগের অবস্থান থেকে সরে এসে বিশেষজ্ঞরা বুস্টার ডোজ চালুর পক্ষে মত দিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বুস্টার ডোজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

এসকেএইচ//