জামার কাপড়, শাড়ি কেটে ম্যাচিং মাস্ক। নতুন স্টাইল স্টেটমেন্ট এখন এটাই। মাস্কও হল, সাজও হল। কিন্তু এই কাপড়ের মাস্ক পরা কতটা নিরাপদ? আদৌ কি ঠেকাতে পারে করোনা ভাইরাস? আর করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন ঠেকাতে সব কাপড়ের মাস্ক কিন্তু কার্যকর নয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের অধ্যাপক ট্রিশ গ্রিনহল্ঘ জানালেন, ‘এই কাপড়ের মাস্ক খুব ভালো হতে পারে, আবার ততোধিক খারাপ হতে পারে।’ তাহলে কোন কাপড়ের মাস্ক কার্যকর? অধ্যাপক গ্রিনহল্ঘ জানালেন, যে সব মাস্ক মিশ্র উপাদানের কাপড়ে তৈরি এবং অন্তত দু’থেকে তিনটি স্তর থাকে, সেগুলোই কার্যকরী। বাকি বেশিরভাগ মাস্ক শুধুই ‘ফ্যাশনের বস্তু’।
সারা দুনিয়াতেই আস্তে আস্তে পা ফেলেছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। এই প্রজাতি অত্যন্ত ছোঁয়াচে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। সে কারণে আগেভাগেই বহু দেশ কড়া সতর্কতা জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কখন কী ধরনের মাস্ক পরতে হবে, সেই নিয়েও জারি করেছে সাবধান বাণী। গ্রিনহল্ঘ বললেন, কাপড়ের মাস্কের সবথেকে বড় সমস্যা হল, মানদণ্ড যাচাইয়ের জন্য একে পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। তাই যারা কাপড়ের মাস্ক বানায়, তারা যা খুশি করতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে অক্সফোর্ডে অধ্যাপক বললেন এন৯৫ মাস্কের কথা। বললেন, এই মাস্ক যাতে ৯৫ শতাংশ ক্ষুদ্র বায়বীয় কণা ঠেকাতে পারে, তা নিশ্চিত করলে তবেই মেলে বিক্রির ছাড়পত্র। তবে তিনি এও বললেন, যে মাস্ক যদি ঠিকভাবে পরাই না হয়, তাহলে কোনও কাজই হবে না। সেই মাস্কের যত স্তরই থাকুক না কেন। কানাডায় যেমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, এক স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের ঢিলেঢালা মাস্ক পরা যাবে না। টাইট মাস্ক পরতে হবে।
এসকেএইচ//