• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম

তিন রূপে ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছে ঢাকায়

তিন রূপে ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছে ঢাকায়

সামাজিক সংক্রমণের মাধ্যমে দেশজুড়ে বিস্তার ঘটছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের। শিগগিরই যা ডেলটাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ওমিক্রনের প্রভাব যেন বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে বিভাগীয় এই নগরীতে ওমিক্রনের ৩টি পরিবর্তিত রূপের (উপধরন) অস্তিত্ব মিলেছে। 

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আইসিডিডিআরবি বলছে, ওমিক্রন ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ঢাকা শহরে তিনটি সাব টাইপ (উপধরন) রয়েছে। এগুলো আফ্রিকান, ইউরো-আমেরিকান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিলে যায়।

এতে আরও বলা হয়, জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে তাঁদের ল্যাবরেটরিতে ১ হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। যেখানে আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় ৬৯ শতাংশের দেহে। 

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত ৬ ডিসেম্বর দেশে প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে ১১ ডিসেম্বর। আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের শরীরে প্রথম ওমিক্রন পাওয়া যায়। পরে ওই মাসেই আইসিডিডিআরবির পরীক্ষাগারে ঢাকা শহরের ৭৭ জন কোভিড রোগীর মধ্যে পাঁচটিতে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছিল। বাকিগুলো ছিল ডেলটার। 

ওমিক্রনে আক্রান্ত ২৯ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আইসিডিডিআরবি প্রতিবেদনে। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও মহিলা ১৬ জন। ২৭ জনের কোনো উপসর্গও ছিল না। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৪ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩ জন। ২৯ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে একদিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনার এই ধরনে আক্রান্ত একজন সৌদি আরব থেকে ফেরা। বাকিরা দেশেই ছিলেন।