![Daily Jagaran](https://www.dailyjagaran.com/media/common/logo.png)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব মানুষকে টিকা দেবার কথা বলেছিলেন। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই ৯ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষকে ১ম ডোজ এবং সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে গেছে। বস্তিতে গিয়েও আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্কুলে গিয়ে আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে প্রায় আড়াই কোটির মতো মানুষ যারা ভ্রাম্যমানভাবে চলাফেরা করে, দোকান-পাট, কল-কারখানায়, লঞ্চ-স্টিমারে কাজ করে তারা টিকার আওতায় আসছে না। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে ভ্রাম্যমান মানুষদের জনসনের টিকা দেয়া হবে। এর কারণ, জনসনের টিকা মাত্র এক ডোজ দিলেই চলে, ২য় ডোজ দেয়ার দরকার হয় না।
আজ (২৯ জানুয়ারি) সকালে মহাখালিস্ত বিসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স) প্রাঙ্গনে কোভিড-১৯ এর বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
ব্রিফিংকালে এক ঘোষণায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, বুস্টার ডোজ ৫০ বছরের ঊর্দ্ধে সকল নাগরিককে প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বুস্টার ডোজ গ্রহণে সেরকম সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য এখন থেকে ৪০ বছরের ঊর্দ্ধে সবাই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবে। একই সাথে ১২ বছরের ঊর্দ্ধে স্কুলগামী বা অন্যান্য সকল শিশুকেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
সরকার এ পর্যন্ত সাড়ে ১৭ কোটি ডোজ টিকা দেশের মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং এই মুহূর্তে সরকারের হাতে আরো প্রায় ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এ কারণে ১২ বছরের ঊর্দ্ধে সবাইকে ভ্যাকসিন দিলেও ভ্যাকসিন শেষ হবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওমিক্রণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ১৪ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন আইসোলেশনে রাখতে হবে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।
করোনার এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপি আক্রান্তের হার লক্ষ লক্ষ। পার্শ্ববর্তী দেশেই সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গেছে। অথচ আমরা মাস্ক না পড়ে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্র চলাফেরা করছি। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ শিশুদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক না। জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতনতায় এগিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
এসকেএইচ//