
ঈদের দিন দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা আবারো দুই অঙ্কের নিচে নেমেছে।
গত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৭ জন শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মৃত্যু হয়নি কারো। এ নিয়ে টানা ১৩ দিনের মত করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যুর খবর আসেনি।
এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ১২৭ জনের।
এর আগে ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৫ জন রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৮৭৯ টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৮৬ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৩ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৯ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১২৭ জনের।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।
এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।
এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।
গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
জাগরণ/স্বাস্থ্য/এমএ