• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২, ১২:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০২২, ০৬:২০ পিএম

ওষুধের দাম সহনীয় রাখা হবে

ওষুধের দাম সহনীয় রাখা হবে
ফাইল ফটো

ওষুধের দাম সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার পাশাপাশি মান আরও বাড়াতে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে ঔষধ সমিতির সাথে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্পে ব্যবহার হয় এমন জিনিসের দাম এবারের বাজেটে বেড়েছে। তবে এখনো বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। দাম না বাড়ানোর বিষয়ে মালিকদের সাথে কথা হয়েছে।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি ওষুধের মান ও উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে এটা আপনারা জানেন। সামনে যাতে ওষুধের দাম না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যই আজকের এ আলোচনা। যেহেতু অনেক কিছুর দাম বেড়েছে সেহেতু এর প্রভাব ওষুধ শিল্পেও পড়বে। ডলারের দামও বেড়েছে তেমনি বিদেশ থেকে নিয়ে আসা কাঁচামালের দামও বেড়েছে। আমরা সবকিছু নিয়েই আলোচনা করেছি। দেশে উৎপাদিত ওষুধের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা একমত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আলোচনায় আমরা সবাই নীতিগতভাবে একমত হয়েছি যে, ওষুধের উৎপাদন বজায় রাখব। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করবে, যেকোনো সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করে নেবেন। এছাড়া আমাদের ওষুধের মানও তারা বজায় রাখবেন। পাশাপাশি ওষুধের দামও সহনীয় পর্যায়ে রাখবেন। সব শ্রেণির মানুষ যাতে ওষুধ কিনতে পারে এটিই আমাদের আলোচনার মূল বিষয়।

পরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফের সংক্রমণ বাড়ছে। তবে যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি নেই বললেই চলে।

জাহিদ মালেক বলেন, যারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, শিগগির নিয়ে নিন। কারণ করোনা কিছুটা হলেও প্রতিদিনই বাড়ছে। আশপাশের দেশগুলোতেও সংক্রমণ বাড়ছে।

তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ নিলে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন। যারা নিয়েছেন তাদের মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তাই আমরা আহ্বান করব, যারা এখনেআ বুস্টার ডোজ নেননি, অতি শিগগির নিয়ে নিন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যের কোনও বিষয় চাপিয়ে দেয়ার নয়। এটা স্বাধীন দেশ, সব নাগরিকের স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাদের অবহিত করা। টিকা নিলে কী সুবিধা, না নিলে কী অসুবিধা- এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরছি। বাকি সিদ্ধান্ত যার যার, এখানে চাপিয়ে দেয়ার কিছু নেই। আমরা চাপিয়ে দিতেও পারব না।

বৈঠকে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামানসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাগরণ/স্বাস্থ্য/এসএসকে