• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০১:০৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১০, ২০২২, ০১:০৮ এএম

‘এবার মায়ের দুধেও মিলল ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক’

‘এবার মায়ের দুধেও মিলল ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক’
প্রতীকী ছবি

এবার মায়ের দুধেও পাওয়া গেলো মাইক্রোপ্লাস্টিক। বিশ্বে এই প্রথমবার মায়েদের বুকের দুধে পাওয়া গেছে ক্ষতিকর এই বিষ। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে নবজাতকের স্বাস্থ্য।

মায়ের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের খোঁজ পেয়েছেন ইতালির গবেষকরা।

সদ্য সন্তান জন্ম দেয়া ৩৪ জন সুস্থ মায়ের কাছ থেকে দুধের নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।

সেখানেই পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি। এই গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে পলিমার সাময়িকীতে। এরপরই ভয়ংকর এই চিত্র বিশ্বের সামনে এসেছে।   

গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন নমুন নেয়া মায়ের চারভাগের তিন ভাগের বুকের দুধেই রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি।

এই আবিস্কারের ফলে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় নবজাতকের শরীরে, মানুষের মস্তিষ্কে আর সবশেষ মায়েদের বুকের দুধে সন্ধান মিললো এই প্লাস্টিকের।

নমুনায় এক থেকে পাঁচটি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এসব প্লাস্টিক পার্টিক্যাল এসেছে পিভিসি, পলিইথিলিন, পলিপ্রোপাইলিনসহ সব রকম প্লাস্টিক পণ্য থেকে।

এর মধ্যে আছে প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন ধরনের বোতল, প্যাকেজিং, সিনথেটিক লেদার, ফ্লোর টাইলস এবং ফার্নিচারের কভার থেকে। 

গবেষকদের দলটি জানিয়েছেন, শিশুরা রাসায়নিক দূষণের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ থাকে এবং এই বিষয়ে আরও গবেষণা জরুরিভাবে প্রয়োজন।

তবে সেই সঙ্গে তারা এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, দূষণকারী মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির কারণে বুকের দুধ ঝুকিপূর্ণ হলেও, শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প কিছু নেই।

গবেষক ভ্যালেন্টিনা নোটারস্টেফানো বলেন, মায়ের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির প্রমাণ মেলায় আমাদের বড় উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।

তিনি আরও বলেন, গর্ভাবস্থা এবং  দুধ পান করানোর সময় এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ কমানোর উপায়গুলো বের করা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই গবেষক জানান, মায়ের দুধ পান করানোর সুবিধা অনেক বেশি। গবেষণা বলছে, অবশ্যই শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। অন্যদিকে দূষণবিরোধী ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগের গবেষণাগুলো মানবকোষ, ল্যাবের প্রাণী এবং সামুদ্রিক প্রাণীর শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিষাক্ত প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পেয়ছিলেন বিজ্ঞানীরা।

কিন্তু জীবিত মানুষের ওপর এর প্রভাব অজানা রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো তুলে ধরেছেন।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে ফিডারে দুধ খাওয়া শিশুরা দিনে লাখ লাখ মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করে। এমনকি গরুর দুধেও প্লাস্টিকের ছোট ছোট কণা থাকে।

নোটারস্টেফানো বলেন, গর্ভবতী নারীদের উচিৎ প্লাস্টিক, প্রসাধনী, টুথপেস্ট, সিন্থেটিক কাপড়, প্লাস্টিকে রাখা খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে যাওয়া। পাশপাশি সচেতন থাকা।

জাগরণ/স্বাস্থ্য/এসএসকে