• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৪:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৮:১২ পিএম

কাশ্মীর ইস্যু ভারতের নিজস্ব ব্যাপার : ফেং

কাশ্মীর ইস্যু ভারতের নিজস্ব ব্যাপার : ফেং

কা শ্মী র  ই স্যু

.............................

চীনের এই মত পরিবর্তনে মাথায় হাত পড়ার অবস্থা পাক সরকারের 

......................

জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের বিরোধিতায় পাকিস্তানের সঙ্গ ত্যাগ করেছে এশিয়ার দেশ চীন। চীনের সান্নিধ্য পেয়েই একের পর এক রণহুঙ্কার ছাড়ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু আকস্মিকভাবে সঙ্গীর এই মত পরিবর্তনে রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে চলেছে পাক সরকার।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় বার্তা সংস্থা আনন্দবাজার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারত ও চীনের উন্নয়নের রূপরেখা বিষয়ে শান্তিনিকেতনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন চীনের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ কিয়ান ফেং। নিজের বক্তব্য উপস্থাপনকালে জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের ইস্যুতে চলমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন ফেং।

তিনি বলেন, বেইজিং বরাবরই কাশ্মীর ইস্যুতে এই অবস্থান নিয়ে চলেছে। তাছাড়া তিব্বত ও তাইওয়ানকে যেমন চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্বীকার করে দিল্লি; ঠিক তেমনই কাশ্মীর ইস্যুটিও আমাদের কাছে তাদের নিজস্ব বিষয়। 

বিশ্লেষকদের মতে, চলমান কাশ্মীর সঙ্কট নিরসনে এবার ইসলামাবাদের মতের উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে বেইজিং। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করলেও চীন বিষয়টিকে একান্তই পাক-ভারতের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু বলে মনে করছে। যে কারণে আলোচনার মাধ্যমে তাদেরই সমস্যাটি সমাধান করতে হবে।

অপরদিকে পাকিস্তানে ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার টিসিএ রাঘবন গণমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, দুদেশের মধ্যে বহুদিন ধরেই একটি ‘বোঝাপড়া’ চলছে। আর তা হলো- তিব্বত ও তাইওয়ানের সমস্যাকে সব সময়ই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বিবেচনা করে ভারত। যে কারণে কাশ্মীর ইস্যুতেও আমাদের অবস্থানকে স্বীকৃতি দেয় বেইজিং। 

এর আগে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়। চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে এবং পাক সরকারের পাশে ছিলো চীন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চীন তাদের মত পরিবর্তন করেছে বলেই ধারণা বিশেষ মহলের। পাকিস্তান যখন শত কৌশলে বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে একটি সাম্প্রদায়িক জটিলতা ও মানবতা বিরোধী ইস্যু হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করছে, ঠিক সময় চীনের এই মত পরিবর্তনে একেবারে মাথায় হাত পড়ার অবস্থা পাক সরকারের।

এসকে/এসএমএম

আরও পড়ুন