• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২২, ১২:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০২২, ১২:০১ এএম

গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে সেমিনার

গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে সেমিনার
ফাইল ফটো

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছর পর হলেও জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ৫১তম সভার আলোচ্যসূচির ৩ নং এজেন্ডায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। 

অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ জেনোসাইড’ ইস্যুটি নিয়ে জোরালো আলোচনার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে আমরা একাত্তর, প্রজন্ম একাত্তর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (ইবিএফ) ও  নেদারল্যান্ডসের প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নয় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ  উপলক্ষে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ, আলোচনা, প্রদীপ প্রজ্বালন, পোস্টার প্রদর্শন, জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর বাংলাদেশ মিশনে স্মারকলিপি দেয়াসহ দেশ-বিদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুরের নালিতাবাড়ির বিধবা পল্লী, বরিশাল, দিনাজপুর, মানিকগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজারে এসব কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। নিউইয়র্ক, ইংল্যান্ড, টরোন্টো, সিডনি ও অস্ট্রেলিয়াতেও মানববন্ধন, সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসব কর্মসূচি আয়োজনের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা সংগঠন আমরা একত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী হিলাল ফয়েজী বলেন, বাংলাদেশ জেনোসাইডের বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, উত্তরবঙ্গ জাদুঘর, আমরা একাত্তর, প্রজন্ম একাত্তর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (ইবিএফ) ও নেদারল্যান্ডসের প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।

এদিকে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের জেনোসাইড ইস্যুটি নিয়ে জোরালো আলোচনার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৯ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন চত্বরে আলোচনা, প্রদীপ প্রজ্বালন, ভিডিও প্রদর্শন ও জাতিসংঘের কাছে প্রতীকী চিঠি দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সংঘটিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জেনোসাইড নিয়ে আলোচ্যসূচি থাকলেও বাস্তব পরিস্থিতিতে সে আলোচনা ওই অধিবেশনে উত্থাপিত হতে পারেনি। বাসুগ এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে উপাচার্যের উপস্থিতিতে এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সক্রিয় অংশগ্রহণে জেনোসাইড বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হিলাল ফয়েজী বলেন, আমাদের দাবি আদায়ের পথে এসব কর্মসূচি আরেকটি ধাপ। জাতিসংঘের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, দাবি আদায়ের আন্দোলনে পররাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সক্রিয় সহযোগিতা করছে।

জাগরণ/মুক্তিযুদ্ধ/এসএসকে