চট্টগ্রামে পণ্যবাহী নৌ চলাচল বন্ধ

বন্দরের পণ্য খালাসে স্থবিরতার আশঙ্কা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম বন্দরের পণ্য খালাসে স্থবিরতার আশঙ্কা

সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি চট্টগ্রামেও অব্যাহত আছে। নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেয়া ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে সব ধরনের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। প্রায় ২ শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। 

লাইটারেজ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গভীর সাগরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আগে থেকে যে লাইটার জাহাজ রয়েছে সেখানে বর্তমানে কাজ চললেও কর্মবিরতি দীর্ঘ হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

লাইটার জাহাজ কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমদ জানান, চট্টগ্রামে ২ শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ অলস বসে আছে। আশাকরি আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ।

হঠাৎ করে লাইটার জাহাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আসন্ন রমজান উপলক্ষে আমদানিকৃত ভোগ্য পণ্য খালাসে বিলম্ব হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। লাইটার জাহাজ বহির্নোঙ্গরে না গেলে সময়মতো পণ্য খালাস হবে না। এক্ষেত্রে আমদানিকারকদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

আমদানিকারক ওয়ারিশা এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সরোয়ার আলম খান বলেন, রমজানের আগে নৌযান শ্রমিকদের এমন কর্মসূচি আমদানি বাণিজ্যের জন্য চরম হুমকি। এই কর্মসূচি যদি একদিনও স্থায়ী হয় তাহলে আমদানিকারকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেক্ষেত্রে পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। এই সংকট উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বন জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক ( ট্রাফিক) এনামুল করিম জানান, বহির্নোঙ্গরে যে লাইটার জাহাজ রয়েছে সেখানে পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে। নৌ শ্রমিকদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে একদিন পরে থেকে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 

এফসি