গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে নিখোঁজ মাদক মামলার আসামি বকুল হোসেনকে ১২ ঘণ্টা পর খুঁজে পেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৫ মে) সকাল ৬টার দিকে কারাগারের ভেতরের রান্নাঘরের পেছনের একটি সবজি বাগান থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় বলে দাবি কারা কর্তৃপক্ষের।
কারাগারে আসামি বকুলের পালিয়ে থাকার কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ীদের শনাক্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আসামি বকুল হোসেনকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার মো. মাহাবুবুল আলম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, আসামি বকুল হোসেন শুক্রবার বিকেল থেকে কারা পুলিশসহ কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেতরেই অবস্থান করছিল।
জেল সুপার আরো বলেন, বকুল কখনো গাছের ওপর, কখনো রান্নাঘর আবার কখনো সবজির বাগানে লুকিয়ে ছিল। এ কারণে চেষ্টা করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ঘটনার পর ভোররাতে সকল বন্দী সেল, হাসপাতাল, টয়লেট, গোসলখানা, রান্নাঘর ও অন্যান্য কক্ষসহ পুরো কারাগার এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে কারা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা। একপর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে রান্নাঘরের পেছনের একটি সবজির বাগানে বকুলকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে কারা পুলিশ সদস্যরা বকুলকে আটক করেন। আটকের পর জিজ্ঞাবাসাদ করা হলে বিকেল থেকে বিভিন্নভাবে পালিয়ে থাকার কথা স্বীকার করে বকুল হোসেন।
এদিকে আসামি বকুল হোসেনের কারাগারে পালিয়ে থাকার ঘটনা উদ্ঘাটন এবং এ ঘটনার সঙ্গে কেউ দায়ী আছেন কি না তা শনাক্ত করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল ময়নুল হক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. শাহীদুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটিকে জেল কোডের বিধান অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামি বকুল হোসেনের (৩২) বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। বকুল হোসেন ওই গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে। গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক মাস ধরে জেলা কারাগারে আছেন বকুল। বকুলের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
এনআই
