দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ঈদের জামাত বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগুম্বজ মসজিদে বাগেরহাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায়, সাড়ে ৮টা এবং সকাল ৯টায় মোট ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয় এ মসজিদে। অধিক মুসল্লিকে এই মসজিদে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ঈদে তিনটি জামাত হয় এখানে। এবছর প্রতিটি জামাতে ছিলো উপচেপড়া ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা এসেছিলেন ঐতিহাসিক এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে। মূল মসজিদের ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদের বাইরে অস্থায়ী তাবুর নিচেও ঈদের জামাত আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বাগেরহাট শহরের সরুই জামেয়া আরাবিয়া সিদ্দিকিয়া ও বরকতিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আমিনুল ইসলাম সিদ্দিকি। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন জামাতে ষাটগম্বুজ বায়তুশ শরফ আদর্শ আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ কারী মাও. মো. খালিদ আহমদ। তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলনা মো. হেলাল উদ্দিন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জহিরুল ইসলাম, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ষাটগম্বুজে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া জেলার উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ এখানে এ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ছাড়াও জেলার ৯ উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী ৪৬০টি ঈদগাহে সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ষাটগুম্বজ মসজিদে ঈদের জামাতের মুসল্লিদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখক সদস্য নিয়োজিত ছিলো।
কেএসটি
