শেরপুরের শ্রীবরদীতে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আকরাম হোসেন (৩৫) নামে এক ধর্ষককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (৫ মে) দুপুরে উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের জানকিখিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিত্যক্ত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক আকরাম হোসেন জানকিখিলা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ও সেলুনের কাজ করে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ওই শিশুর বাবা জানকিখিলা গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকায় রিক্সা চালায়। তার মা একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে। ওই শিশু ঢাকার উত্তরার একটি কেজি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ঈদ উপলক্ষে সে বাবার সাথে বাড়িতে আসে। ঈদের দিন পার্শ্ববর্তী শালমারা গ্রামে তার নানার বাড়ি যায়। সেখানে শালমারা বাজার। এর পাশে জানকিখিলা হাফেজিয়া মাদরাসা মাঠে ওই শিশু খেলতে যায়। সেলুনের দোকানদার নাপিত আকরাম হোসেন ওই শিশুকে বিস্কুট দেয়ার কথা বলে মাঠ সংলগ্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় পাশের পরিত্যক্ত মাঠে ঘাস কাটতে যাওয়া কয়েকজন ওই শিশুর চিৎকার শোন আকরাম হোসেনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক আকরাম হোসেনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এদিকে, ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্যে বিকালে উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষক আকরাম হোসেন থানা হাজতে রয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার জানান, শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসার পর মেডিকেলের জন্যে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
কেএসটি
