মির্জাপুরে জেলা ইজতেমা বন্ধ করে দিল প্রশাসন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০১৯, ০৬:৩৮ পিএম মির্জাপুরে জেলা ইজতেমা বন্ধ করে দিল প্রশাসন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাওলানা সা’দপন্থীদের উদ্যোগে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পূর্বানুমতি না নেওয়ার অভিযোগে এই ইজতেমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ফজরের নামাজের পর থেকে উপজেলা সদরের কুতুব বাজার-সংলগ্ন মাঠে দিল্লি নিজাম উদ্দিন বিশ্ব মারকাসের অনুসারী মাওলানা সা’দ কান্দলভি বিশ্ব আমির অনুসারীরা তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করেন। বুধবার (১২ জুন) থেকে এই ইজতেমায় দেশ এবং বিদেশের তাবলিগ জামাতের সদস্যরা আসতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে বয়ানের মাধ্যমে জামাতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়া কথা ছিল।

এদিকে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের সাথির ব্যানারে অপর একটি পক্ষ কয়েক দিন ধরে এই ইজতেমা বন্ধের জন্য সভা-সমাবেশ করা ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।

বৃহস্পতিবার বিপুলসংখ্যক পুলিশ ইজতেমা মাঠে অবস্থান নেয়। এছাড়া ইজতেমার জন্য নির্মিত প্যান্ডেলের বাঁশ, খুঁটি ও তাঁবু পুলিশের উপস্থিতিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় সেখানে টাঙ্গাইলের অতিরক্তি পুলিশ সুপার (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসন অফিসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঈনুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার মির্জাপুর সার্কেল দীপঙ্কর ঘোষ, মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে ইজতেমা মাঠে অবস্থান নেওয়া তাবলীগ জামাতের সদস্যদের সরিয়ে দিলে তারা পার্শ্ববর্তী কাণ্ঠালিয়া মাদরাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেয়।

তাবলিগ জামাতের কয়েকজন সদস্য বলেন, মির্জাপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন গত রোববার তাদের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ইসলামের দাওয়াতের কাজে আয়োজিত ইজতেমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিকভাবে সহায়তা করা হয়ে থাকে। কিন্তু মির্জাপুরে ইজতেমা করতে না দেওয়ার কারণ আমাদের বোধগম্য নয়।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, আয়োজকরা পুর্বানুমতি না নিয়ে ইজতেমা আয়োজন করেছিল। এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাশের একটি মাদ্রাসায় অবস্থান নেন।

এনআই