প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

বরিশালে ১ পদের বিপরীতে প্রার্থী ১৫ হাজার

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৯, ০৫:২১ পিএম বরিশালে ১ পদের বিপরীতে প্রার্থী ১৫ হাজার

২১ ও ২৮ জুন বরিশাল জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। জেলার ১০টি উপজেলায় ৬২ হাজার প্রার্থীর ওই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধলক্ষাধিক হলেও শূন্য পদ প্রায় ২০০। যার মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ১টি শূন্য পদের বিপরীতে লড়বেন ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী। ফলে পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে এলেও হতাশা কাটছে না পরীক্ষার্থীদের।

বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় মোট ১ হাজার ৫৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হবে ২১ ও ২৮ জুন। এরই মধ্যে সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন।

বরিশাল সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সদর উপজেলায় মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৩, যার মধ্যে সহকারী শিক্ষকের পদ ১ হাজার ১৯৩টি। এই উপজেলায় শিক্ষকের কোনো পদ খালি নেই বললেই চলে। শুধু নগরীর মাতৃমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি পদ শূন্য রয়েছে। অথচ ওই একটি পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার। তাদের মধ্য থেকে শুধু একজনেরই নিয়োগ হবে। বাকিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। জেলা অফিস থেকে নিয়োগ দিয়ে আমাদের কাছে প্রেরণ করা হয়, আমরা শুধু যোগদান নিই। নিয়োগপ্রক্রিয়া যদি উপজেলা পর্যায়ে হয়ে থাকে, তবে যে উপজেলায় যে কটি পদ শূন্য সে কজনকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। আর যদি জেলার মধ্যে হয়ে থাকে, তবে এক উপজেলা থেকে একাধিক ব্যক্তির নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকবে।’

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. আবু জাফর বলেন, বরিশাল সদরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ধোঁকাবাজি হচ্ছে। কেননা নগরীসহ সদরের কোনো স্কুলেই শিক্ষকের পদ খালি নেই। বাইরের জেলা থেকে শিক্ষকদের এনে শূন্য কোটা পূরণ করে রাখা হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থী আল আমিন জুয়েল বলেন, ‘বরিশাল সদর উপজেলা থেকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আমরা চারজন আবেদন করেছি। কিন্তু এখন যা দেখছি এবং শুনছি তাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়াটাই ঠিক হবে না। পরীক্ষার প্রবেশপত্র উত্তোলন এবং কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার জন্য যে রিকশা ভাড়া দিতে হবে, সেটাই লোকসান। কেননা শুনেছি সদরে শিক্ষকের একটি মাত্র পদ শূন্য। ওই একটি পদের জন্য হাজার হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। তাই শেষ পর্যন্ত আমরা পরীক্ষা দিতে যাব কি না, সে বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবে।’

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ আর মিজানুর রহমান জানান, বরিশালের ১০টি উপজেলায় শিক্ষকের পদ তেমন একটা খালি নেই। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ পদ শূন্য রয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যক পদের জন্য আবেদন করেছেন ৬২ হাজার পরীক্ষার্থী। ২১ ও ২৮ জুন দুই ধাপে ৩২টি কেন্দ্রে তাদের নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

এনআই