লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দাসপাড়া কুইয়ার বাড়ির সামনে ওয়াপদা খালের উপর সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ, সেতু নির্মাণে মরা পাথর ব্যবহার, সিমেন্ট ও রড় কম দেয়ায় দুই পাশের মাটি ভরার করতে গেলে সেতুর উইন ওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে। এ ঘটনায় সম্প্রতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) সেতুটি পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন।
সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে গ্রামীণ রাস্তায় দাসপাড়া কুইয়ার বাড়ির সামনে ওয়াপদা খালের উপর সেতু নির্মাণে ৩২ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্ধ হয়। লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাফ লং সেতু নির্মাণ কাজ ভাগিয়ে নিয়ে চলতি মাসের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, সেতু নির্মাণ কাজে দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কাজের মান খারাপ হয়। সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ার পরেও পিআইও জুন ক্লোজিংয়ের অজুহাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অর্থ ছাড় দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
জাপ লং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজী মো. সেলিম সংবাদকর্মীদেরকে জানান, মাটি ভরাট করার সময় সেতুর গোড়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যে সমস্যা দেখা দিয়ে তা সংস্কার করে দেয়া হবে। নিম্নমানের কাজের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
পিআইও অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জুয়েল রানা বলেন, জুন ক্লোজিং এর পর ঠিকাদার পুনরায় কাজটি করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) ভারপ্রাপ্ত মোশাররফ হোসেন বলেন, ভ্যাফু দিয়ে সেতুর গোড়ায় মাটি ভরাট করার সময় অতিরিক্ত চাপ পড়ে সেতুর পূর্ব পাড়ের দুইটি উইন ওয়ালসহ সেতুতে ফাটল ধরে। জুন ক্লোজিংয়ে বিল পাশ করলেও কাজ না করা পর্যন্ত তাদের টাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
একেএস