সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ০৮:৩০ এএম সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সদর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রধান সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিভ্রাটে পড়েছেন পাঁচটি  উপজেলার লাখো মানুষ। ঢলের পানিতে এসব উপজেলার ২০ কিলোমিটার সড়ক ও ২৫টি ব্রিজ কালভার্টের সংযোগ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে বলে জানায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর।

সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর-বাদাঘাট, সীমান্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এছাড়া দোয়ারাবাজার বাংলাবাজার, হালুয়ারঘাট-নারায়নতলা সড়কসহ ৫টি উপজেলার ১২টি সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

সীমান্ত সড়ক ও তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতুর এক কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, কলমাকান্দা রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়ক অবকাঠামোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়। বারিক টিলা হতে মহেশখলা সীমান্ত সড়কের ১০টি স্থানে ঢলের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। মানুষ পায়ে হেঁটে নৌকায় চড়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছেন। 

তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি গ্রামের রফিক মিয়া বলেন, যাদুকাটা নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে আনোয়ারপুর ব্রিজের সংযোগ সড়ক এক কিলোমিটার এমন ভাবে ভেঙে গেছে যানবাহন তো দূরের কথা সাধারণ মানুষ হেঁটে চলাচল করতে পারেন না। 

চিকসা গ্রামের মাঈনুদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়ক দিয়ে তিনটি থানার লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। পাহাড়ি ঢলে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। 

ট্যাকেরঘাট গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, বারিকটিলা থেকে মহেশখলা পর্যন্ত সীমান্ত সড়কের ১০ জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নৌকা ছাড়া চলাচল করা যায় না। 

তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এছাড়া উপজেলার তিনটি শুল্ক স্টেশনের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের চলাচল বিঘ্নিত হবে। দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করার দাবি জানান সরকারের কাছে। 

সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহমদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে। 

কেএসটি