টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, চট্টগ্রাম নগরীতে অচলাবস্থা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০১৯, ০৬:০৫ পিএম টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, চট্টগ্রাম নগরীতে অচলাবস্থা

দুই দিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে বেশিরভাগ এলাকা। নিম্নাঞ্চলে জমে আছে হাঁটু সমান পানি। পুরো নগরীই যেন পানিবন্দি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। সড়কেও কমে গেছে যানবাহনের সংখ্যা। জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় নগরজীবনে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা।

টানা দুই দিনের ভারী বর্ষয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট মোড়, মুরাদপুর মোড়, শোলক বহর এলাকা, দুই নাম্বার গেইট এলাকা, অক্সিজেন মোড়, বাদশা মিয়া পেট্রোল পাম্প, জিইসি মোড় থেকে খুলশী, শিল্পকলা এলাকায় মোহাম্মদ আলী রোড, ওয়ারলেস গেইট মুরগি ফার্ম, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার গুলজার মোড়, বাদুরতলা জঙ্গিশাহ মাজার মোড়, ডিসি রোড, ওয়াসা মোড়, নিউ মার্কেট থেকে আমতল, নিউ মার্কেট থেকে বিআরটিসি মোড়, জামাল খান মোড়, চৌমুহনী থেকে কদমতলী মোড়, আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে এক্সেস রোড, সদরঘাট মোড়, সল্টগোলা ক্রসিং, ইপিজেড থেকে বন্দরটিলা, মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন এলাকায় পানি জমে আছে।

এছাড়া নগরীর অধিকাংশ সড়কে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ না হওয়ায় সৃষ্ট গর্তে জমে আছে বৃষ্টির পানি। এতে রিকশা, সিএনজি ট্যাক্সিসহ যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে। 

এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলও কমে যায়। নগরীর যেসব সড়কে রাস্তায় যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এর মধ্যে রয়েছে কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দার হাট মোড়, মুরাদপুর মোড়, শোলক বহর এলাকা, দুই নাম্বার গেইট এলাকা, অক্সিজেন মোড়, বাদশা মিয়া পেট্রোল পাম্প, জিইসি মোড় থেকে খুলশী, শিল্পকলা এলাকায় মোহাম্মদ আলী রোড, ওয়ারলেস গেইট মুরগি ফার্ম, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার গুলজার মোড়, বাদুরতলা জঙ্গি শাহ মাজার মোড়, ডিসি রোড, ওয়াসা মোড়, নিউ মার্কেট থেকে আমতল, নিউ মার্কেট থেকে বিআরটিসি মোড়, জামাল খান মোড়, চৌমুহনী থেকে কদমতলী মোড়, আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে এক্সেস রোড, সদরঘাট মোড়, সল্টগোলা ক্রসিং, ইপিজেড থেকে বন্দরটিলা, মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন এলাকা।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া অফিসের ডিউটি অ্যাসিসট্যান্ট মাহমুদল আলম বলেন, ‘সোমবার চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৩৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ জুলাই), মঙ্গলবার ও পরশু বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।’ একই সঙ্গে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কোমর সমান পানি মাড়িয়ে বাসায় ফিরছে অনেকেই। রাস্তায় গাড়ি কিংবা রিকশা না পেয়ে বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকেই। বিকেলে অফিস ফেরত যাত্রীদের পড়তে হয়েছে আরো বিডম্বনায়।

ইপিজেডে পোশাক কারখানায় কর্মরত আমির হোসেন টেলিফোনে জানান, সকালে নানা বিডম্বনার শিকার হয়ে অফিসে আসতে হয়েছে। বিকেলে ফেরার পথে দেখি আরো খারাপ অবস্থা। ইপিজেড থেকে হালিশহর পর্যন্ত কিভাবে যাব জানি না। রাস্তায়
যানবাহনও পাওয়া যাচ্ছে না।

কেএসটি