চকলেট দেয়ার প্রলোভনে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০১৯, ০৮:৩৬ এএম চকলেট দেয়ার প্রলোভনে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ 
চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নির্যাতিত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান- ছবি : জাগরণ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। চকলেট খেতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী ধর্ষক আব্দুল মালেক। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শিশুকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোপীনাথপুর গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালকের ওই শিশু কন্যা বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় বাড়ির পাশের আব্দুল মালেক ওই শিশুকে চকলেট খেতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। 

প্রতিবেশী আব্দুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে আব্দুল মালেকের স্ত্রী বাড়িতে নেই। মেয়ের চিকিৎসার জন্য মা-মেয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। এই সুযোগে মালেক চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। 

নির্যাতিত শিশুর মা জানান, ধর্ষণের কারণে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমার মেয়ে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সে তার মামীর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে পালিয়ে যায় ধর্ষক আব্দুল মালেক। 
অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই শিশুকে ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। 

হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুন ওই শিশুটিকে চিকিৎসার পাশাপাশি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছেন। 

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুঁটে যান পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, অতি. পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, অতি. পুলিশ সুপার  (হেড কোয়ার্টার) আবুল বাশার ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। এ সময় তারা নির্যাতিত শিশুর পরিবারের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেন। 

পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে নির্যাতিত ওই শিশুটির চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করছি। একই সঙ্গে ধর্ষক আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তারে পুলিশ এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে। খুব শীঘ্রই আমরা ধর্ষক মালেককে গ্রেপ্তারে সক্ষম হবো। 

কেএসটি