বগুড়ায় নদীতে পানি বৃদ্ধি, শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ০৮:৫৯ এএম বগুড়ায় নদীতে পানি বৃদ্ধি, শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন
বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত- ছবি : জাগরণ

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শতাধিক বাড়ি।
শুক্রবারের পর শনিবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী বিভিন্ন চরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে উপজেলার যমুনা নদী এলাকার সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী সদর ইউনিয়নের নিজবাটিয়া, কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া, চকরতিনাথ, নয়াপাড়া, চন্দনবাইশা, চালুয়াবাড়ী, কুতুবপুর, কামালপুর, কর্ণিবাড়িসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ও যমুনার তীরবর্তী নিচু এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ১টি হাইস্কুলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যায় চরাঞ্চলের কৃষকের বিভিন্ন মৌসুমী ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি হলে ও ঢলের পানি আসলে পানি আরও বাড়বে।

চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, বন্যার পানিতে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের সুজানের পাড়া ২৫টি পরিবার, উত্তর হাটবাড়ী ২০টি, বহুলাডাঙ্গা ২০টি, উত্তর শিমুল তাইড় ৩০টি, ভাঙ্গরগাছা ১৫টি বিরামের পাঁচগাছী গ্রামে ৩০টি পরিবারসহ সর্বমোট ১৪০টি পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভোমিক জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সড়িয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার চাল ডাল বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

কেএসটি