প্রবল স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে তীব্র যানজট

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৯:০১ এএম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে তীব্র যানজট

কয়েকদিন ধরে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এবং ফেরি চলাচলে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হওয়াতে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটের সৃষ্টি পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। দুই পারে দীর্ঘ সারিতে ট্রাকসহ যাত্রীবাহী যানবাহন ফেরি পারাপারে জন্য আটকে আছে। ফলে যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 
এদিকে, পাটুরিয়া ঘাটে যানজটের কারণে পুলিশ উথলী সংযোগ মোর থেকে ট্রাকগুলোকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ঢুকতে না দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উপর দীর্ঘ সারি করে রাখছে। 

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরাতন এবং ছোট ইউটিলিটি ফেরিগুলো স্রোতের বিপরীতে চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এসব ফেরি ঘাটে ভিড়তে অনেক সময় লাগছে। স্রোতের কারণে আগে যেখানে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যেতে একটি ফেরির সময় লাগতো ৩০-৩৫ মিনিট এখন সময় লাগছে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগছে। এতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। 

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য ঘাটগুলোও লো-ওয়াটার লেবেল থেকে হাই ওয়াটার লেবেলে স্থানান্তর করতে হচ্ছে। এতে ফেরি লোড-আনলোডে বিঘ্ন ঘটছে। বিআইডব্লিউটিএ’র শ্রমিকরা ইট ও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ঘাটগুলো সচল রাখার চেষ্টা করছে। 

বিআইডব্লিউটিসি’র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতের বিপরীতে মাওয়া-চরজানাজাত নৌ-রুটে ডাম্প ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না। ফলে ওই রুটের  যানবাহনগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ ব্যবহার করছে। এতে এ নৌরুটে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। যানবাহনের তুলনায় ফেরি কম হওয়ায় যানবাহন পারাপারে একটু সমস্যা হচ্ছে।  

বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী প্রকৌশলী সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, পুরাতন ফেরিগুলো সর্বশক্তি নিয়োগ করে প্রবল স্রোতের বিপরীতে চলাচলে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। প্রতিনিয়তই দু’একটি ফেরি স্থানীয় ভাসমান কারখানায় মেরামতে থাকছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেরি শাফলা শালুক পাটুরিয়া ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে।  বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১৫টি ফেরির মধ্যে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বাড়ার কারণে এ রুটে আরো ফেরি বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন।  

কেএসটি