চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানকে উপর্যপুরী কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে রিগানের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তাকে ৪০টি কোপ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের জ্বিনতলা মল্লিক পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাতেই মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাতে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে আহত রিগানের বাবা আজম আলী বাদি হয়ে ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ২৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করা হয়েছে নজরুল, রাব্বি ও ফিরোজ নামের তিন জনকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শহরের মাঝের পাড়ার আজম আলীর ছেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের নেতা শোয়েব রিগান রাতে মটর সাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় রাহেলা খাতুন গালর্স একাডেমির পিছনে পৌঁছালে ৫/৬ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল তাকে ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্ত দলটি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান জানান, ধারালো চাপাতি দিয়ে উপর্যপুরী কোপানোর ফলে রিগানের দুই পা ও বাম হাতসহ শরীরের অন্তত ৪০টি স্থান ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। বিশেষ করে দুই পা ও বাম হাতে কোপ দেওয়া হয়েছে অসংখ্যা। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব রিগানের ওপর হামলার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতি-পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে ছুঁটে যান।
অতি-পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. কলিমুল্লাহ জানান, কারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপ্রতীকর ঘটনা প্রতিরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতি. পুলিশ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন জানান, শোয়েব রিগান কলেজ ছাত্রলীগের নেতা হলেও চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে মনোনীত ছিলেন। এ ন্যাক্কারজনক এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা।
কেএসটি
