ভাই ফায়াজকে পুলিশের মারধর

গ্রামবাসীর তোপের মুখে ফাহাদের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি ভিসি (ভিডিও)

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৫:৫৬ পিএম গ্রামবাসীর তোপের মুখে ফাহাদের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি ভিসি (ভিডিও)
ফাহাদের গ্রামের বাড়ির সামনের সড়কে শত শত নারী-পুরুষের বিক্ষোভ  -  ছবি : জাগরণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। কিন্তু গ্রামবাসীর বিক্ষোভ আর প্রতিরোধের মুখে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটার দিকে তিনি জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।

ফাহাদের কবর জিয়ারত করছেন ভিসি সাইফুল ইসলাম  -  ছবি : জাগরণ

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে রায়ডাঙ্গায় যান উপাচার্য। তিনি সেখানে ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। পরে তার ভাই ও বাবার প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন উপাচার্য। তাদের জিজ্ঞাসা ছিল, উপাচার্য কেন ওই হত্যাকাণ্ডের পরপর সেখানে উপস্থিত হননি। এখন কেন এসেছেন?

এরপর ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে দেখা করার জন্য রওনা দেন উপাচার্য। কবরস্থান থেকে আধা কিলোমিটারের মাথায় ফাহাদের বাড়ি। কিন্তু উপাচার্যের যাওয়ার কথা শুনে স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ ফাহাদের গ্রামের বাড়ির সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে এক নারী আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ফায়াজকে মারধর করে পুলিশ। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপাচার্যকে ঘিরে থাকতে দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে ফাহাদের মায়ের সঙ্গে দেখা না করে উপাচার্য পুলিশ প্রহরায় ডিসির গাড়িতে করে রায়ডাঙ্গা গ্রাম ছেড়ে যান।

ছোট ভাই ফায়াজের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন উপাচার্য। বাঁয়ে পুলিশের মারধরের শিকার ফায়াজ  -  ছবি : জাগরণ

রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে ফাহাদের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ভিসির। এ খবরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়। ফাহাদের বাড়ির পাশে ও কবরের আশপাশের এলাকায় অসংখ্য র‌্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়।

গত রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এনআই

এনআই

আরও সংবাদ