ট্রেন দুর্ঘটনায় তছনছ মাইনুদ্দিনের পরিবার

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৮:২৯ পিএম ট্রেন দুর্ঘটনায় তছনছ মাইনুদ্দিনের পরিবার
আহত মাহিমাসহ অজ্ঞাত আরেক শিশু-ছবি : জাগরণ

কিছুক্ষণ আগেও জানতেন না তার পরিবারের সঙ্গে কী ঘটতে যাচ্ছে। মুর্হূতেই ট্রেন দুর্ঘটনায় তার পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তার কাকলী আক্তার (১৮)। প্রাণ হারিয়েছে তার মামি ও মামাতো বোন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাঈনুদ্দিন ছুটে যান কসবায়। কসবার বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্রের লাশের সারিতে খুঁজে পান তার স্ত্রীর মরদেহ। আর সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মাহিমাকে পান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে।

মাইনুদ্দিন জানান,মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর মাল, মামি আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়মকে নিয়ে দুইদিন আগে সিলেটের হজরত শাহজালাল (রা.) ও হজরত শাহপরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান স্ত্রী কাকলি আক্তার।সেখান থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে ফিরছিলেন তারা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু দুর্ঘটনায় স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোন প্রাণ হারিয়েছেন। বিকালে দিকে কাকলির বড় ভাই ফরিদ মুন্সী ও মাইনুদ্দিন মরদেগগুলো শনাক্ত করেন।

মাইনুদ্দিনের মামা জাহাঙ্গীর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শিশু মাহিমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে যখন ভর্তি করা হয়, তখন তার সঙ্গে কেউ ছিল না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন জানান, রাহিমা আক্তার নামে এক বৃদ্ধা ওই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তখন তিনি এই শিশুর নাম মাহিমা বলে জানান। রেজিস্টার্ড বইয়েও সেটি উল্লেখ করা হয়। 

সার্জারি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তার জানান, হাসপাতালে আনা পর তার চিকিৎসা দেয়া হয়।শিশুটি একটু পরপর শুধু বাইরে যাবে বলছিল।

সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মাঝামাঝি বগিতে ঢুকে পড়ে তূর্ণা নিশীথা। ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক।

এসএমএম