গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার চাঞ্চল্যকর শাওন হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৪ দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করেছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ। মূলত শাওনের স্ত্রী রোজিনা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক অটুট রাখতেই শাওনকে খুন করে বড় ভাই তানজির আহম্মেদ। গ্রেফতারকৃত তানজির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এর আগে, ১১ জানুয়ারি (শনিবার) তানজির আহম্মেদ (৩০) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত তানজির জানিয়েছেন, তিনি রোজিনা কে পছন্দ করে প্রেম নিবেদন করেন। প্রথমে রোজিনা তাকে পাত্তা না দিলেও পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ছোট ভাই জানতে পারায় তাকে হত্যা করে তানজির।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত শাওন উপজেলা বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর কোমরপুর বাজার এলাকার মৃত জসিম উদ্দিন সাবু মিয়ার ছেলে। গত ৬ জানুয়ারি কোমরপুর হাটে একটি ইসলামী জলসা চলাকালে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খুন হন শাওন। হত্যার পর নিহত শাওনের লাশ পার্শ্ববর্তী একটি বায়ু গ্যাস প্লান্টের ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন নিহতের লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি নিহতের আরেক বড় ভাই বেনজির আহম্মেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অবশেষে শাওন হত্যাকাণ্ডের ৪ দিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জরিত থাকায় নিহতের আপন বড় ভাই তানজির আহম্মেদ কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তানজিরের ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ।
একেএস