গাইবান্ধায় ধর্ষণ ঠেকাতে পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন গৃহবধূ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২০, ০৮:২৬ পিএম গাইবান্ধায় ধর্ষণ ঠেকাতে পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন গৃহবধূ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কর্তনের শিকার হয়েছে রুহুল আমিন (৩৫) নামে পাঁচ সন্তানের এক জনক। বুধবার দিবাগত (২৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্যাসীর চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

গৃহবধূর পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চরাঞ্চলীয় ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্যাসীর চর গ্রামের এক জেলের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী আওলাদ হোসেনের পুত্র রুহুল আমিন দীর্ঘদিন যাবৎ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বুধবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী নদীতে মাছ ধরতে যায়। এই সুযোগে লম্পট রুহুল আমিন বাড়িতে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই গহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় গৃহবধূ তার সম্ভ্রম বাঁচাতে ব্লেড দিয়ে রুহুল আমিনের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। পরে রুহুল আমিন রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায় সেখান থেকে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে গোপনে রুহুল আমিনের পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় তাকে গাইবান্ধা জেনারেল  হাসপাতালে ভর্তি করে।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন-অর-রশিদ জানান, লিঙ্গ কর্তন নিয়ে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গৃহবধূর ভাষ্য, রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এর আগেও ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল একই ব্যক্তি। সে কারণে গাইবান্ধা কোর্টে একটি জিডিও করা হয়। তারপরেও উত্যক্ত করে আসছিল রুহুল আমিন।

গৃহবধূটি জানান, বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তার স্বামী নদীতে মাছ ধরতে গেলে রুহুল আমিন ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সম্ভ্রম বাঁচাতে রুহুল আমিনের লিঙ্গ কেটে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল কাদের জানান, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছিল। পরে বিষয়টি স্থানীয় সালিসে মীমাংসা করা হয়। বুধবার রাতের ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখতে পাই। ভুক্তভোগী গৃহবধূ আমার কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে তাকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওছার আলী দৈনিক জাগরণকে বলেন, ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

এসএমএম  

আরও সংবাদ