চসিক নির্বাচন

নগরপিতা হলেন রেজাউল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ১২:৩৪ এএম নগরপিতা হলেন রেজাউল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে রেজাউল করিম পান ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত আছে দুটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন কয়েকটি সহিংসতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চসিক নির্বাচন। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয় ৭৩৫টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছিল ৪১০টি।

এদিকে সংরক্ষিত ও সাধারণ মোট ৫৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩৯টিতে। নগরের পাথরঘাটা ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

ভোটের শুরুতে সকাল সাড়ে ৯টায় নগরের ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান স্কুল কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. আলাউদ্দিন (২৮) নামের একজন নিহত হন। আহত হন নারীসহ ৬ জন।

এর আগে সকাল ৮টায় নির্বাচনকে ঘিরে নগরের পাহাড়তলী এলাকায় আপন ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে নিজামউদ্দীন মুন্না নামে এক যুবক নিহত হন। নিহত মুন্না ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহম্মদের সমর্থক ছিলেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কামরুল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক ছিলেন।

ভোটের পুরো সময় নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ভোট দিতে না পারায় ও এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন বর্জন করেছেন মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।

চসিক নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১০ লাখ ৩০০টি। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭ জন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৭ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৬৮ জন।