কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রুহুল আমিনকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিচারক সারওয়ার আহমেদ দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক আহমেদ। এর আগে শুক্রবার রাতে তাকে ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে লেখক মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন রুহুল আমিন।
তিনি মুশতাক আহমেদের সঙ্গে গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের খুলনার খালিশপুরস্থ বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেই বাসা থেকেই তাকে আটক করে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। একই সঙ্গে আটক করা হয় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সংগঠক নিয়াজ মুর্শিদকে। তবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রুহুল আমিন তার ফেসবুক আইডিতে লেখক মুশতাক আহমেদের কয়েকটি পোস্ট উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, “এই সকল লেখায় যদি লেখক মুশতাকের কারাবাসের কারণ হয়, অতঃপর ছয় বার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারেই তাকে হত্যা করা হয়, তবে গ্রেপ্তার কর আমাকে।”
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক আহমেদ জানান, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে খালিশপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা ডিবি-ই তদন্ত করছে।
এদিকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। সেখানে সমাবেশ শেষে মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাদিস পার্কের সামনে গিয়ে শেষ হয়।