বরিশালে পুলিশি নির্যাতন 

আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ

বরিশাল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২১, ০৩:৩২ পিএম আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ

বরিশালে পুলিশের নির্যাতনে শিক্ষানবিশ আইনজীবী রেজাউল করিম ওরফে রেজার (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩ মার্চ)  বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে বরিশাল জজ কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী রেজাউল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা ইউনুস মুন্সির করা এক আবেদনে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আদালত বলেছেন, আইনে যেহেতু সুযোগ আছে সেহেতু আবেদনকারী সেই সুযোগ পেতে পারেন। এ কারণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল।

এর আগে আটকের তিনদিন পর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি সদস্যদের হাতে রেজাউল করিম রেজার মৃত্যুর ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ এর (ক) ধারার ক্ষমতাবলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন জানান।

রেজাউল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি তার বাবা ইউনুস মুন্সি বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।  


ওই আদেশের ভিত্তিতে তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রার্থনায় হাইকোর্টে আবেদন করেন। বুধবার শুনানি শেষে ওই আবেদন নিষ্পত্তি করে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। 

মামলায় নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া আরও দুজনকে আসামি করা হলেও তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ খান সড়কের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে রেজাউলকে আটক করেন এসআই মহিউদ্দিন আহমেদ। তার কাছে মহিউদ্দিন দুজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম জানতে চান। 
রেজাউল কিছু জানেন না বললে তার পকেটে হাত দিয়ে নেশাজাতীয় ইনজেকশন পাওয়ার দাবি করে তাকে আটক করে নিয়ে যান। এরপর রেজাউলের ওপর নির্যাতন চালান হয়। পরে আহত রেজাউলকে থানার মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১ জানুয়ারি বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।