কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পেটালেন মির্জা

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২১, ০৯:২৩ পিএম কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পেটালেন মির্জা

বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি জানার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন খিজির হায়াত খান।

সোমবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

কাদের মির্জার ভাগ্নে ও খিজির হায়াত গ্রুপের অন্যতম অনুসারী ফখরুল ইসলাম রাহাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধীতা করে আসছিলেন খিজির হায়াত খান। এ বিরোধের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটান কাদের মির্জা। খিজির হায়াত খান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহদাতের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা এই হামলা করেন। 

হামলাকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ফরহাদ লিংকনকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। 

এ সময় কাদের মির্জা ও সাহদাতের সন্ত্রাসী বাহিনী পৌর এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেন বলে দাবি করেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের অভিযোগ, বিকেল ৫টার দিকে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একা অবস্থান করছিলেন। ওই সময় মেয়র কাদের মির্জা অফিসে এসে প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা শতাধিক সমর্থক তাকে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। 

খিজির হায়াত খান বলেন, “আমাকে এমন ভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার, চোর। এ সময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোন সহযোগিতা করেননি।” 

এ বিষয়ে কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি নিজে ফোন ধরেন নি। অন্য এক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ফোন ধরে দাবি করেন কাদের মির্জা কোনো হামলা করেন নি।  

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে ওসি (তদন্ত) রবিউল হক বলেন, “সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় বন্ধ করে দিলে খিজির হায়াত খানের নেতৃত্বে একটি নতুন দলীয় অফিস নেওয়া হয়, যেটি পুরনো অফিসের পাশেই। আজ সেখানে মিলাদ হওয়ার কথা ছিল। খিজির হায়াত খান কয়েকজন লোক নিয়ে অফিসে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মেয়র কাদের মির্জা তার উপর হামলা চালান এবং তাকে মারধর করেন।”