সাতক্ষীরার মধু দেশ পেরিয়ে বিদেশে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০১৯, ১০:০৪ এএম সাতক্ষীরার মধু দেশ পেরিয়ে বিদেশে
মধু আহরণে ব্যস্ত মৌচাষিরা। ছবি: জাগরণ

 

সাতক্ষীরায় সরিষা ফুলের মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। চলতি বছর এ জেলা থেকে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এসব মধু জাপান, ভারত, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।

মধু উৎপাদনকারীরা বলছেন, সরিষা ক্ষেত থেকে মধু আহরণের ফলে একদিকে মৌচাষিরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন, অন্যদিকে মৌমাছির পরাগায়নে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হচ্ছে সরিষার। মৌচাষে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মধু রপ্তানি করে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আর এসব সরিষা ক্ষেতের পাশে বাক্স পদ্ধতিতে সরিষা ফুলের মধু আহরণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

মধু খামার মালিক মোশাররফ হোসেন জানান, সাতক্ষীরার শতাধিক মধু উৎপাদনকারী এ বছর সরিষা ফুলের মধু আহরণ করছেন। প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সরিষা ফুলের মধু আহরণ করে খামারীরা। তিনি বলেন, মধু খামারীদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেয়া হলে গার্মেন্টস বা চিংড়ি শিল্পের চেয়ে মধু রপ্তানি করে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

আরেক মধু খামার মালিক নুর আমীন বলেন, জেলায় প্রায় দেড় হাজার মধু খামারী রয়েছে। যারা সারা বছরই দেশের বিভিন্ন স্থানে মধু আহরণ করে থাকে। তিনিও মধুচাষিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের দাবি করেন।  

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, পরাগায়নের ফলে সরিষার ফলন ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বেশি হয়। আগে কৃষকরা সরিষা ফুলের মধু আহরণে বিরোধিতা করলেও এখন আর করেননা। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে তারা জানতে পেরেছে মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের সময় পরাগায়ন হয়। ফলে সরিষার ফলন বেশি হয়। তাদের ভ্রান্ত ধারণা পাল্টে গেছে। এখন সরিষা চাষিরা বেশি ফলনের আশায় মধু আহরণে সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা প্রান্তিক কৃষকদের এসব বিষয় নিয়ে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।


সাইসে