তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ফরিদপুর

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২১, ০১:১৩ পিএম তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ফরিদপুর

ফরিদপুরে প্রতিনিয়তই তাপমাত্রা বাড়ছে। ৪০ ডিগ্রী ছুঁই ছুঁই তাপমাত্রায় পুড়ছে মানুষ, সবুজ প্রকৃতি, ফসল, আলু, আম-লিচুসহ শাকসবজির ক্ষেত। রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। 

সকালের সূর্য উদয় হচ্ছে আগুনের হলকা নিয়ে। দশটার মধ্যেই উত্তপ্ত হচ্ছে আবহাওয়া। সময় যত গড়ায় তাপদাহ ততই বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে মরা পদ্মা ও কুমার নদের বিশাল বালিচর হচ্ছে তপ্ত কড়াই। সেখান থেকে ভেসে আসছে তপ্ত বালি। যা চোখে মুখে জ্বালা ধরাচ্ছে। সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন টিনের চালার ঘরের বসবাসকারী মানুষ। তাপ যেন টিনের চুইয়ে নিচে নামছে। ফলে ঘরে থাকাও দায় হয়ে পড়েছে। 

লকডাউনের কারণে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা ঘরে ফিরলেও সেখানও স্বস্তি নেই। বড় বড় দালানকোঠা ছাদের উপরের পানির ট্যাংকও ফুটন্ত পানির আধারে পরিণত হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, পশু পাখি। একটু স্বস্তি মিলছে না কোথাও। 

ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে। 

তীব্র দাবদাহের কারণে করোনার মধ্যে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা। বেডে ফ্লোরে সবখানেই গরমজনিত কারণে রোগী আর রোগী। একদিকে করোনা অন্যদিকে গরমজনিত রোগীর চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. খবিরুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরে তাপমাত্রা কেবলই বাড়ছে। এতে করোনার মধ্যে ঘরে ঘরে আবার ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে এ তীব্র গরমে।