‘সুপ্রভাত’ এর মালিক গোপাল তিন দিনের রিমান্ডে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০১৯, ০৬:০৮ পিএম ‘সুপ্রভাত’ এর মালিক গোপাল তিন দিনের রিমান্ডে
আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে আটক সুপ্রভাত বাসের মালিক ননী গোপাল সরকার -ছবি : জাগরণ

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয়া ঘাতক সুপ্রভাত বাসের মালিক ননী গোপাল সরকারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ এ রিমান্ডের আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মোহাম্মদ ইয়ার খানসহ আরও অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আসামির বিরুদ্ধে যায় না। এ গাড়ির ড্রাইভার-হেলপার রিমান্ডে রয়েছে। কিন্তু মালিক তো আর গাড়ি চালায়নি। তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। কোন ঘটনা ঘটলে মালিক তো বলবেই, নিরাপদ স্থানে গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এটি তো অপরাধের কিছু নয়। তাই রিমান্ড চাওয়ার কোনো যুক্তিগত কারণ নেই।

রাষ্ট্রপক্ষের গুলশান থানায় জিআরও রকিবুল ইসালম রিমান্ড বাতিলের বিরোধিতা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসালম আদালতকে বলেন, সুপ্রভাত গাড়ি চালকের হালকা লাইসেন্স ছিলো। তারপরেও তাকে গাড়িটি চালানোর জন্য দেয়া হয়। তাছাড়া হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো বেআইনি। এছাড়া এ গাড়ির বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম মামলার তদন্তের স্বার্থে ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং বাসের অন্য মালিকদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তিনি বলেন, ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে মুগদার একটি বাসা থেকে ননী গোপাল সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলায় গত ২০ মার্চ সুপ্রভাতের চালক সিরাজুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৮ মার্চ তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২৭ মার্চ বাস কন্ডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত এবং হেলপার ইব্রাহীম হোসেনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২ এপ্রিল তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

গত ১৯ মার্চ রাজধানীর প্রগতি সরণির বসুন্ধরা গেটে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের (মেট্টো-ব-১১-৪১৩৫) চাপায় নিহত হয় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।

এইচএম/এসএমএম