নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার নুর উদ্দিন-শাহাদাতের 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০১৯, ০৮:৫৩ এএম নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার নুর উদ্দিন-শাহাদাতের 
নুসরাত হত্যাকারী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মামলার আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ফেনীর আদালতে শুরু হওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা এই দায় স্বীকার করেন। আদালতে ওই দুই আসামি প্রায় ১০ ঘণ্টা জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা খুনের পরিকল্পনা, হত্যা মিশনসহ বিশদ বর্ণনা করে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদালতকে জানিয়েছেন। এরপরই এ মামলার তদন্তের গতি আরও বেড়ে যায়। 

পিবিআই কর্মকর্তার দেয়া তথ্য মতে, এ হত্যা মামলার পলাতক আসামি ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নিহত নুসরাতের সমপাঠী আবদুল কাদেরকে হন্য হয়ে খুঁজছেন পিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার মদদদাতা হিসেবে আরও একজনকে খোঁজা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম বলেননি পিবিআই কর্মকর্তা।
   
এদিকে স্বীকারোক্তির বিষয়ে পিবিআই স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহেরুল হক জানান, দুই আসামি নুর ও শাহাদাত জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন কারাগারে থাকা অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নুসরাতকে খুন করার নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পর নুসরাতকে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি জানান, বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জবানবন্দি দেন আসামি নুর উদ্দিন। এরপর জবানবন্দি দেন আরেক আসামি শাহাদাত হোসেন। তার জবানবন্দি রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত দেন। ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের হাকিম জাকির হোসাইন দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাফিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। সেখানেই  চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল আইসিইউতে রাফির মৃত্যু ঘটে। নুসরাতের গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই জানায়, এ ঘটনায় ১৩ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর মধ্যে দুইজন মেয়ে, যারা ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আর ছাদে নুসরাতের গায়ে আগুন লাগানোর সময় চারজন অংশ নিয়েছিলো। নুসরাত হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ আটজন গ্রেফতার রয়েছেন।

এইচ এম/বিএস