ছেলে-মেয়ে ও মায়ের লাশ, আত্মহত্যার ইঙ্গিত ফরেনসিক বিভাগের

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম ছেলে-মেয়ে ও মায়ের লাশ, আত্মহত্যার ইঙ্গিত ফরেনসিক বিভাগের
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ; ফাইল ফটো


রাজধানীর উত্তরখান থেকে রহস্যাবৃত মা ও ছেলে-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি আত্মহত্যা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মরদেহের ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ। 

বুধবার দুপুরে তিন মরদেহের বিষয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে আত্মহত্যার এই সম্ভাবনার কথা জানান সোহেল মাহমুদ। এর আগে ময়নাতদন্তকারী ডা. সোহেল মাহমুদ তিন মরদেহ যেখানে পাওয়া যায় সেই উত্তরখানের ফ্ল্যাটটি পরিদর্শন করেন। 

ঘটনাস্থলের প্রাপ্ত আলামত, ময়নাতদন্তের সময় পাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন বিষয় মিলিয়ে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় বলে ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন ডা. সোহেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘তারপরও সিআইডিতে আমরা বিভিন্ন আলামত দিয়েছি। ডিএনএ টেস্ট হবে। এগুলো পেলে পুরো বিষয়টি জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। দুইজনকে হত্যা করে হয়তো একজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মা ও ছেলের মধ্যে একজন হত্যাকারী হতে পারে। 

এর গত সোমবার তিন মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্নের পর অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, তিনজনের মধ্যে ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ে ও মার মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে। যদিও মায়ের পেটে ও গলায় ছুরিকাঘাতের দাগ রয়েছে। কিন্তু সেই আঘাতে তার মৃত্যু হয়নি। 

উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরখান এলাকার একটি বাসা থেকে দুই সন্তানসহ এক মায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন মা জাহানারা বেগম মুক্তা (৪৮), ছেলে কাজী মহিব হাসান রশ্মি (২৮) ও মেয়ে আফিয়া সুলতানা মিম (২০)। 

লাশের পাশে পাওয়া একটি চিরকুটে বলা হয়, তারা আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মৃত্যুর জন্য পরিবারের অবহেলাই দায়ী। তবে তাদের মৃত্যুর বিষয়ে রহস্যের জাল এখনও কাটেনি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মা ও তার দুই সন্তান আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাদের কেউ হত্যা করেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। 

এইচএম/আরআই